বলিউডে কেন নেই দুই পুরুষের প্রেম?
শুধু বড়পর্দায়ই নয়, পর্দার বাইরেও সংস্কার ভাঙতে পছন্দ করেন বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর। ফের তার প্রমাণ হাজির করলেন সাম্প্রতিক মুক্তি পাওয়া ‘এক লাড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা’ ছবিতে। প্রেমে কোনো পার্থক্য গড়তে চায় না এই ছবি।
এক লাড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগার টিজার বেরোনোর পর অনেকের প্রত্যাশা ছিল, এ ছবির প্রেমের গল্প রচিত হবে সোনম কাপুর ও রাজকুমার রাওকে ঘিরে। তবে ট্রেইলার বেরোনোর পর সব পাল্টে যায়। কারণ, ছবিতে দেখানো হয় সমলিঙ্গের প্রেম।
একটা সিনেমা নিশ্চয়ই ভালোবাসায় পার্থক্যের বার্তা দিতে পারে না। বরং সবার প্রেমই উদযাপন করে। শেলী চোপড়া ধর পরিচালিত ‘এক লাড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা’র গল্পেও দেখা যায়, পাঞ্জাবকন্যা সোনম কাপুর প্রেমে পড়েছেন আরেক কন্যার।
সম্প্রতি কারিনা কাপুর খান সঞ্চালিত রেডিও শো ‘হোয়াট ওম্যান ওয়ান্ট’-এর অতিথি হন সোনম কাপুর, সেখানেই সমলিঙ্গের প্রেম কীভাবে বড়পর্দায় প্রদর্শিত হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়।
সেখানেই সোনমের প্রতি কারিনার জিজ্ঞাসা, ‘বলিউড ছবিতে দুই নারীর প্রেম দেখা গেলেও দুই পুরুষের প্রেম দেখা যায় না কেন?’
ভারতীয় সমাজ এখনো অনেক কিছুই গ্রহণ করতে শেখেনি, যদিও বদলে যাচ্ছে বহু প্রেক্ষাপট। সোনমের মত, সমাজ এখনো নারী-পুরুষের প্রেমই পছন্দ করে আর এর ওপরই নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চায়।
ছবিতে সোনমের সুইটি চরিত্রটি কি ব্যক্তিগত জীবন থেকেই অনুপ্রাণিত, এমন প্রশ্নও ছিল কারিনার। সোনম বলেন, তাঁর কল্পনাশক্তি এই ভূমিকায় অভিনয় করতে সাহায্য করেছে। ব্যক্তিগত জীবনের সুখকর মুহূর্ত, বেদনা অথবা যেকোনো কিছুই, আবেগের জায়গাগুলো অভিনয়ে প্রকাশিত হয়।
‘বীরে দ্য ওয়েডিং’ ছবিতে সোনমের সঙ্গে কাজ করেছিলেন কারিনা; বলেন, ‘এক লাড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা’ সমকামী নারীর গল্প সামনে এনেছে। কিন্তু সিনেমায় সমকামী পুরুষের গল্প ক্বচিৎ দেখা যায়। সোনমের উত্তর, সাধারণত সমাজ নারী-পুরুষের প্রেমকে নিয়ন্ত্রণ করে। সমাজদৃষ্টির নানা দিক সত্ত্বেও সিনেমা বা শিল্প সমাজেরই প্রতিফলন করে।
তো কীভাবে পুরোনো প্রজন্মের মানসিকতা বদলানো যেতে পারে? সোনমকে কারিনার জিজ্ঞাসা। উত্তরে এই অভিনেত্রী বলেন, সমাজ বদলাচ্ছে, যদিও এখনো অনেক পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থে হত্যা হচ্ছে, অনেকে ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে। তাঁর মতে, সিনেমা বা শিল্প হচ্ছে এমন মাধ্যম, যা শুধু বিনোদনই দেয় না, একই সঙ্গে শিক্ষাও দেয়। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে