বলিউড খলনায়ক মহেশের গলিত দেহ উদ্ধার
আশি ও নব্বইয়ের দশকে বেশ কিছু বলিউড ছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন মহেশ আনন্দ। শনিবার মুম্বাইয়ে নিজ বাসভবন থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে এই অভিনেতার পচাগলা দেহ। তাঁর রহস্যজনক এই মৃত্যুর পেছনে সঠিক কারণ কী, তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ অবশ্য আত্মহত্যার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না। যদিও কোনো সুইসাইড নোট এখনো উদ্ধার হয়নি। ৫৭ বছর বয়সী অভিনেতা মহেশ আনন্দের পচাগলা দেহটি পশ্চিম আন্ধেরিতে ইয়ারি রোডে অবস্থিত তাঁর বাসভবন থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মহেশের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিকটবর্তী কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্ত্রী মস্কোতে থাকায় একাই বাস করতেন মহেশ। পুলিশের ধারণা, অন্তত দুদিন আগে মারা গেছেন তিনি।
গত মাসে মুক্তি পেয়েছে গোবিন্দের সিনেমা ‘রঙ্গিলা রাজা’। এই সিনেমাতেই সর্বশেষ দেখা গেছে মহেশ আনন্দকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মহেশ আনন্দের মদ্যপানের সমস্যা ছিল, একাই বসবাস করতেন তিনি। অভিনেতার মৃত্যুর পেছনে সঠিক কারণ এখনো অস্পষ্ট। তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, পচাগলা অবস্থাতেই তাঁর শরীর বাসস্থান থেকে নিয়ে আসা হয়।
অমিতাভ বচ্চন, সঞ্জয় দত্ত ও গোবিন্দসহ বেশ কয়েকজন তারকার ছবিতে মহেশ আনন্দ অভিনয় করেন। ‘শাহেনশাহ’ (১৯৮৮), ‘থানেদার’ (১৯৯০), ‘বিশ্বমাতা’ (১৯৯২), ‘গুরুমা’ (১৯৯৩), ‘খুদ্দার’ (১৯৯৪), ‘কুলি নাম্বার ওয়ান’ (১৯৯৫), ‘বিজেতা’সহ (১৯৯৬) বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই প্রতিবেদনে বলেছে, বেশ কয়েক বছর ধরে আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন মহেশ আনন্দ। অতিরিক্ত মদ্যপানও করতেন তিনি। গত ১৮ জানুয়ারি মুক্তি পায় তাঁর সর্বশেষ ছবি ‘রঙ্গিলা রাজা’। এর আগে ১৮ বছর তাঁকে বড়পর্দায় দেখা যায়নি।
এ ঘটনায় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মহেশের বোনকে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয়েছে, যিনি মুম্বাইয়ে বসবাস করেন। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে