তিন দিনে আয় ৫০ কোটি

এবারের বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পাওয়া হিন্দি ছবি ‘গাল্লি বয়’ বক্স অফিসে শাসন জারি রেখেছে। ‘সিম্বা’ খ্যাত রণবীর সিং ও ‘রাজি’ খ্যাত আলিয়া ভাটের জুটি বাঁধা এই ছবি দর্শকের ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছে। চিত্রসমালোচকরাও এ ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আর তার প্রভাব পড়ছে আয়ে।
বক্স অফিস ইন্ডিয়ার সূত্রমতে, গতকাল শনিবার আগের দিনের তুলনায় আয় ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। শনিবার এ ছবির সংগ্রহ ১৮ কোটি ৫০ লাখ রুপি। সব মিলিয়ে তিন দিনে মোট সংগ্রহ দাঁড়াল ৫০ কোটি রুপির বেশি। সপ্তাহান্তে এ ছবির আয় আরো বাড়বে বলেই মত বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের।
বৃহস্পতিবার মুক্তির দিনে ‘গাল্লি বয়’ বক্স অফিসে সংগ্রহ করে ১৯ কোটি ৪০ লাখ রুপি। আর শুক্রবারে কমে দাঁড়ায় ১৩.১০ কোটি রুপি। মুক্তির দিনে আয়ে ‘সিম্বা’র পর রণবীর সিংয়ের এ ছবি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ করেছে। মুক্তির দিন ‘সিম্বা’ আয় করেছিল ২০ কোটি রুপি আর শুধু ভারতের বক্স অফিসে সর্বসাকল্যে সংগ্রহ ২৫০ কোটি রুপি।
প্রথম দিনে আলিয়া ভাটের সর্বোচ্চ আয় করা ছবি ‘গাল্লি বয়’। তাঁর সর্বশেষ ছবি ‘রাজি’ ভারতের বক্স অফিসে সর্বসাকল্যে সংগ্রহ করে ১২৩ কোটি রুপি।
দর্শক, চিত্রসমালোচকদের পাশাপাশি এই ছবির প্রশংসা করেছেন বলিউড তারকারাও। ছবিটি দেখার পর রণবীর সিংকে ‘টাইগার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা অনিল কাপুর আর পরিচালক জয়া আখতারকে সম্বোধন করেছেন ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে। হলিউড তারকা উইল স্মিথ রণবীর সিংয়ের প্রশংসা করে ফটোব্লগিং সাইট ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার দিয়েছেন।
সিনেমার গল্পে দেখা যায়, মুম্বাই বস্তিতে বাস করা মুরাদ নামের (রণবীর) এক র্যাপার, যে তার সামাজিক-আর্থিক সব অসংগতি সত্ত্বেও তারকা হওয়ার স্বপ্ন দেখে। সবার অনুৎসাহ সত্ত্বেও নিজের মতো করে এগিয়ে যায় মুরাদ আর হয়ে ওঠে তারকা। ঝড় তোলে তার গান।
বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি নিয়ে লালগালিচায় কথা বলার সময় রণবীর সিং বলেন, “শ্রেণিসংগ্রামের ভিত্তিতে দেখতে গেলে এটা একটা অসামান্য গল্প। মানুষের পছন্দের দিক থেকে দেখতে গেলেও এটা অসামান্য গল্প। মানুষের যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়, নাকি প্যাশনকে ভিত্তি করে এগিয়ে যাওয়াই জীবন, সেই গল্পই শোনাবে ‘গাল্লি বয়’।”
র্যাপার নাইজি ও ডিভাইনের জীবনের গল্প থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে ‘গাল্লি বয়’-এর গল্প লিখেছিলেন জয়া আখতার। বস্তি এলাকার বাসিন্দা থেকে পরবর্তী সময়ে তাঁরা র্যাপের জগতে নাম করে বিশ্বে হিপ হপ মিউজিকের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস