শাড়ি বেচে ছেলের স্কুলের ফি দিতেন এই তারকার মা!
বলিউডের একসময়ের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা জ্যাকি শ্রফ। ফ্যাশনের জন্যও বিখ্যাত বর্ষীয়ান এই অভিনেতা। তারকাখ্যাতি শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি তাঁকে। অনেক সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয়েছে জ্যাকিকে। ফেলে আসা দিনগুলো তাই স্মরণেই থাকে।
সম্প্রতি জ্যাকি শ্রফ অতিথি হয়েছিলেন নাচের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘সুপার ড্যান্সার চ্যাপটার থ্রি’-তে। নিজের সুপারহিট গানগুলোতে বাচ্চাদের নাচের দক্ষতা দেখে বিস্মিত হন তিনি। সেখানেই দেরাদুনের প্রতিযোগী ১১ বছর বয়সী অক্ষিত ভান্ডারির সংগ্রামের গল্প শুনে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন জ্যাকি। অক্ষিতের মায়ের সঙ্গে নিজের মায়ের মিল খুঁজে পান তিনি। এই প্রতিযোগীর মেধার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
নিজের সংগ্রামের দিনগুলো স্মরণ করে জ্যাকি শ্রফ বলেন, ‘আমিও জীবনের ৩৩ বছর চাউলে (বড় ভবন, যেখানে অনেকগুলো পরিবার গাদাগাদি করে থাকে) থেকেছি। সাতটি ফ্ল্যাটে আমরা ৩০ জন থাকতাম। বাথরুম ছিল মাত্র তিনটি। আমার স্কুলের ফি জোগাড়ে মা গৃহসামগ্রী ও শাড়ি বেচতেন।’
জ্যাকি শ্রফ মনে করেন, প্রত্যেকের ভেতরে এক ধরনের জাদু থাকা প্রয়োজন। মানুষ যেখান থেকেই আসুক না কেন, তাঁকে অর্জন করে নিতে হবে।
‘নায়ক বনে যাওয়ার পরও আমি ওই চাউলে কয়েক বছর থেকেছি। কারণ ওই জায়গাটায় আমার আবেগ জড়িত,’ যোগ করেন জ্যাকি।
জ্যাকি শ্রফের সংগ্রামমুখর অতীতের গল্প শুনে আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন অন্য বিচারকরাও। তবে তাঁর হাস্যোজ্জ্বল মুখ মঞ্চের প্রত্যেকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
চলচ্চিত্র অঙ্গনে জ্যাকি শ্রফ শুধু একটি তারকার নামই নয়, নিঃস্বার্থ মানুষের নামও। কঠোর পরিশ্রম করে জীবনে সাফল্য ছুঁয়েছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে রেখেছেন নিজের স্বাক্ষর। লাখো শিল্পীর অনুপ্রেরণা তিনি। তাঁর ছেলে ‘বাঘি’ খ্যাত টাইগার শ্রফ, তিনিও কঠোর পরিশ্রমের জন্য পরিচিত। সূত্র : ডিএনএ