বিমানবন্দরে মনমরা নেহা কক্কর!
কিছুদিন আগে অভিনেতা হিমাংশ কোহলির সঙ্গে সুপারস্টার সংগীতশিল্পী নেহা কক্করের প্রেমবিচ্ছেদ হয়েছে। সে খবর নিজেই প্রকাশ করেছিলেন নেহা। এরপর একটি নাচের রিয়েলিটি শোতে বিচ্ছেদের কথা স্মরণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছাড়াছাড়ির পর বিষণ্ণতায় ভুগেছেন, সে কথাও জানিয়েছেন। আজ মুম্বাই বিমানবন্দরেও তাঁকে বিষণ্ণ মনে হলো!
বলিউডে একের পর এক হিট গান দিয়ে চলেছেন নেহা কক্কর। ৩০ বছর বয়সী এ সংগীতশিল্পী কখনো গানের জন্য, কখনো টিভি শোতে বিচারক হওয়ার জন্য খবরের শিরোনাম হন। কোহলির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বারবার খবরের শিরোনাম হচ্ছেন।
আজ রোববার মুম্বাই বিমানবন্দরে দেখা যায় ‘কোকা কোলা’ শিল্পীকে। খুব ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। বিমানবন্দরে তাঁকে দেখে চিত্রসাংবাদিকরা জড়ো হন। পোজও দেন তিনি। তবে তাঁর সেই টোলমাখা হাসি দেখা যায়নি!
ব্ল্যাক টাইটের সঙ্গে সবুজ স্পোর্টিং শার্ট পরেছিলেন নেহা কক্কর। চোখে কালো চশমা ও চুল খোলা ছিল। মুঠোফোনেও ব্যস্ত দেখা গেছে তাঁকে।
সংগীতশিল্পী নেহা কক্কর ও অভিনেতা হিমাংশ কোহলি তাঁদের প্রেমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন গানের রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলের দশম মৌসুমে। কিন্তু কয়েক মাস পরই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। দুজন দুজনকে সামাজিক মাধ্যমে হিসাবের খাতা থেকে আনফলো করে দেন। ইনস্টাগ্রামে জানান, জীবনে কঠিন সময় পার করছেন এবং তিক্ত বিচ্ছেদের পর বিষণ্ণতায় ভুগছেন।
এর পরই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অনেকেই হিমাংশ কোহলি সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করেন এবং নেহাকে প্রতারণা করার জন্য তাঁকে অভিযুক্ত করেন। তবে নেহা এই বিষয়গুলোকে ‘গুজব’ ও ‘ভীষণ বিরক্তিকর’ বলে উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নেহা বলেন, ‘আমি খুব আবেগী মানুষ। আমার ব্যক্তিগত জীবনে শেষ কয়েক মাস ধরে যা ঘটেছে, তার জন্য আমি সত্যিই ভালো নেই। কিন্তু এটাও ঠিক যে, নিজের ব্যক্তিগত জীবনের বিষয় নিয়ে সবার সামনে মুখ খোলার জন্য এখন আফসোস করি।’
একের পর এক হিট গানের জন্য জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন নেহা কক্কর। তবে শুধু বলিউডি গানের জন্য বিখ্যাত নন তিনি, টিভি শোতে সব সময় পাদপ্রদীপের আলোয় থাকায় তিনি সুপরিচিত। সনি টেলিভিশনে গানের রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলের দশম মৌসুমের বিচারক ছিলেন তিনি।
বলিউডে এখন তুমুল জনপ্রিয় নেহা কক্কর। ‘লন্ডন ঠমকড়া’, ‘কর গ্যায়ি চুল’, ‘দিলবার’, ‘মানালি ট্র্যান্স’, ‘ধাতিং নাচ’, ‘কালা চশমা’, আঁখ মারে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। সূত্র : পিংকভিলা