পর্দার পেছনে

বাংলা ছবির প্রযোজক হতে চান? মেনে নিন এসব ঝক্কি

Looks like you've blocked notifications!

চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য পরিচালক, অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলী ও সংশ্লিষ্ট আরো অনেকে তৈরি থাকলেও, যদি প্রযোজক না থাকেন তাহলে সেই ছবি আর আলোর মুখ দেখবে না। অর্থলগ্নি থেকে শুরু করে ছবি নির্মাণের প্রতিটি ধাপে প্রযোজকের সহায়তা লাগে। এমনকি ছবি শেষ হওয়ার পর প্রযোজকের দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়। ছবিটি সঠিক সময়ে মুক্তি ও এর প্রচারের জন্য সব আয়োজন এই প্রযোজককেই করতে হয়। কিন্তু দিন শেষে ছবি তৈরি থেকে কতটুকু লাভবান হচ্ছেন একজন প্রযোজক? সেটারই একটি খতিয়ান দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে ‘পর্দার পেছনে’র এবারের পর্বে।  

প্রথমে চুক্তি, পরে কাজ

বাংলাদেশে একজন প্রযোজক সিনেমা প্রযোজনা করতে চাইলে প্রথমেই তাঁকে একজন পরিচালকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হয়, সেক্ষেত্রে একটি মাঝারি মাপের চলচ্চিত্রের জন্য পরিচালক পেয়ে থাকেন চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা।

গল্পকে চিত্রনাট্যে পরিণত করতে চিত্রনাট্যকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হয় প্রযোজকের। সাধারণ মাপের একটি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখতে খরচ হয় এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

চিত্রনাট্য তৈরি হয়ে গেলে প্রয়োজন হয় হৃদয়গ্রাহী নামের। প্রযোজককে এই নাম আগে নিবন্ধন করাতে হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতিতে। এজন্য তাঁকে ব্যয় করতে হয় সাড়ে তিন হাজার টাকা। একবার নাম নিবন্ধন হয়ে গেলে পরবর্তী ১২ বছরের মধ্যে আর কেউ নামটি ব্যবহার করতে পারবে না। তবে ছবির কাজ এক বছরের মধ্যে শুরু করতে হবে। যদি একেবারেই ছবির কাজ শুরু না হয় তাহলে একবছর পর আবারও এই সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। কাজ শুরু না করলে এবং এক বছর পর টাকা না দিলেও নিবন্ধিত নাম অন্য প্রযোজক তার ছবির জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। এই কাজের ফাঁকেই প্রযোজককে বাংলাদেশ প্রযোজক সমিতির সদস্য হতে হয়। সমিতিতে এই প্রাথমিক সদস্য পদের জন্য জমা দিতে হয় এক লাখ দুই হাজার ৭০০ টাকা। এফডিসি কর্তৃপক্ষের অনাপত্তিপত্র পেতে প্রযোজক সমিতির সদস্য পদের কাগজ ও পরিচালক সমিতিতে ছবির নাম নিবন্ধনের কাগজ জমা দিতে হয়।

দাপ্তরিক কাজের মধ্যেই ছবির গানের রেকর্ডিং শেষ করতে হয়। গীত রচনা, সুরারোপ, সঙ্গীত আয়োজন, শিল্পীর পারিশ্রমিক ও স্টুডিও খরচসহ পুরো একটি গান শেষ করতে খরচ হয় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। একটি চলচ্চিত্রে চার থেকে পাঁচটি গান ব্যবহার করা হয়।

ইউনিটে যুক্ত হন কলাকুশলীরা

ওদিকে, চিত্রনাট্য তৈরি করার সময় শুটিংয়ের তারিখ নির্ধারণ করতে হয়। শুটিং করার জন্য কলাকুশলীদের সঙ্গে চুক্তি করতে হয়। সহকারী পরিচালক, চিত্রগ্রাহক, সম্পাদক, মেকাপম্যান, প্রোডাকশন ম্যানেজার, পোশাক পরিকল্পনাকারী ও শিল্প নির্দেশক মিলিয়ে সবাইকে আট থেকে ১২ লাখ টাকা দিতে হয়। 

গল্পের চরিত্র অনুযায়ী শিল্পীদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হয় প্রযোজকের। সেক্ষেত্রে ছোট বড় শিল্পীদের সম্মানি দিতে হয় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। মূল ভূমিকায় থাকা অভিনয় শিল্পী, খল অভিনেতার পোশাক বাবদ খরচ হয় আরো পাঁচ লাখ টাকা।

পোস্ট প্রোডাকশনের কাজের জন্য একটি প্রোডাকশন হাউজের সঙ্গে চুক্তি করতে হয়। পুরো ছবির জন্য সেখানে প্রয়োজন হবে চার থেকে লাখ লক্ষ টাকা। একই সেবা এফডিসি থেকে পেতে হলে খরচ লাগবে ছয় লাখ ২০ হাজার টাকার মতো। চুক্তি হয়ে গেলে শুটিং শুরুর পর পরই সম্পাদনার কাজটিও এগিয়ে রাখতে পারেন পরিচালক।

লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দিনক্ষণ দেখে শুটিং শুরু হয়। একটি সিনেমার জন্য সাধারণত দেড় মাস শুটিংয়ের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে দৃশ্য ধারণের জন্য ২৫ দিন, অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য ৭ থেকে ১০ দিন আর গানের জন্য লাগে আট থেকে ১০ দিন।

একটি শুটিংয়ে ৫০ থেকে ৬০ জন লোক থাকে। গল্পের প্রয়োজনে আবার  লোক বাড়তে পারে, কমতেও পারে। দৃশ্যের শুটিংয়ে খরচ একটু কম হলেও গান ও মারামারির শুটিংয়ে খরচ একটু বেশি। গড়ে প্রতিদিন খরচ হয় এক লাখ টাকা বা তার কিছু বেশি।

এই শুটিং চলকালে নানা ঝক্কির মধ্যে পড়তে হয় প্রযোজককে। যদি আবহাওয়া বৈরী হয়, অথবা হঠাৎ করে ইউনিটে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, কিংবা কলাকুশলীরা যদি অসুস্থ হয়ে যান, তখন প্রযোজকের বাড়তি টাকা গুনতে হয়। শুটিং লোকেশন যদি বিদেশে হয়, তাহলে এমনিতেই খরচ বাড়ে। বিদেশে যাওয়া-আসা কেন্দ্রিক শিডিউল মেলাতে যদি হিমশিম খেতে হয় তাহলে যত দিন যাবে ততই ছবিটির আবেদন কমতে থাকবে এবং ব্যবসায়িক লোকসানের শঙ্কা বাড়তে থাকবে। তাই বেশি টাকা লাগলেও দ্রুত ছবির কাজ শেষ করতে চান প্রযোজকরা।

এফডিসির অনাপত্তিপত্র পেতেও সরকারি খাতায় জমা দিতে হয় ১০ হাজার টাকা। মাঝে তো বকশিস আছেই। সমিতি ও এফডিসি থেকে সব কাগজপত্র ঠিকঠাক করে একজন প্রযোজক নিশ্চিন্তে চলচ্চিত্র নির্মাণে পরিচালককে সবুজ সংকেত দিতে পারেন।

ছাড়পত্রের জন্য দৌঁড়ঝাপ

ছবি শেষ হলে দৌঁড়াতে হয় সেন্সর বোর্ডে, ছবি জমা দেয়ার জন্য। এখানেও প্রযোজককে জমা দিতে হয় ৩২ হাজার টাকা। বোর্ড থেকে যদি সংশোধন দেয়, তাহলে আবারও খরচ বাড়ে। আর যদি বিনা কর্তনে ছবি ছাড়পত্র পায়, তখন শুরু হয় প্রচারের জন্য দৌড়ঝাপ। তবে প্রচারের পরিকল্পনার পাশাপাশি প্রযোজককে আরেকবারের জন্য যেতে হয় প্রযোজক সমিতিতে। সেখানে মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়, যাতে ওই তারিখে দুটির বেশি ছবি মুক্তি না পায়। এই তারিখ বুক করার জন্যও টাকা গুনতে হয়। টাকার পরিমাণ এক হাজার। এ সময় প্রযোজককে আরো সাড়ে তিন হাজার টাকা দিতে হয় প্রযোজক সমিতিকে, পূর্ণ সদস্য পদ পাওয়ার জন্য। এই সদস্যপদের মেয়াদ আজীবন। সমিতিতে পূর্ণ সদস্য হলে একজন প্রযোজক ভোট দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করেন।

ছবিটি যেন নকল বা পাইরেসি না হয়, সেই নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আরো ১০ হাজার টাকা দিতে হয় এফডিসি কর্তৃপক্ষ বরাবর।

প্রচারেই প্রসার

এবার ছবিটি মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নেন প্রযোজক। সিনেমা পাড়াখ্যাত রাজধানীর কাকরাইলে তাঁকে একটি অফিস ভাড়া করতে হয় দুই থেকে তিন মাসের জন্য। প্রতি মাসে ভাড়া আনুমানিক ২০ হাজার টাকা। একজন ম্যানেজার নিয়োগ করতে হয়, যাকে দিতে হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। একজন পিয়নের খরচ ১০ হাজার টাকা। পানি, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য খাত মিলিয়ে প্রতি মাসে লাগে এক লাখ টাকার মতো। সিনেমা হল মালিকদের ছবির ট্রেইলার দেখানোর জন্য একজন প্রযোজককে টেলিভিশন ও সাউন্ড সিস্টেম বসাতে হয় অফিসে। আর এতে খরচ পড়ে আরো ৮০ হাজার টাকা।

সিনেমার প্রচারের জন্য পোস্টার, ব্যানার ইত্যাদি তৈরি করতে তিন লাখ টাকা ব্যয় করতে হয়। এই হিসেব মাঝারি মানের ছবির জন্য। বড় বাজেটের ছবি হলে প্রচারের খরচ আরো বেড়ে যায় দ্বিগুণ বা তিনগুণ। এর সাথে পোস্টার ও ব্যানার ডিজাইন বাবদ আরো ৫০ হাজার টাকা গুনতে হয় প্রযোজককে।

মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত, প্রচারও শুরু হয়ে গেছে। এবার প্রযোজককে মুখোমুখি হতে হয় সিনেমা হল মালিকদের। ছবিটি যদি ডিজিটালে নির্মিত হয়, এখন সব ছবিই ডিজিটালে হচ্ছে, সেক্ষেত্রে যোগাযোগ করতে হবে জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে। তাদের সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে চুক্তি করতে হয়, ছবি মুক্তির এক সপ্তাহ আগে থেকে তারা শুধু ছবির ট্রেইলার দেখাবে হলে সেজন্য। দেশের প্রায় দেড় শতাধিক হলে জাজের প্রজেক্টর বসানো আছে। এসব হলগুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে জাজ। প্রথম ক্যাটাগরির হলে ছবি মুক্তি দিলে এক সপ্তাহের জন্য প্রজেক্টর ভাড়া দিতে হয় ১০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে আট হাজার ও তৃতীয় ক্যাটাগরির জন্য দিতে হয় ছয় হাজার টাকা। ছবি মুক্তির আগের দিনই পুরো টাকা পরিশোধ করতে হয় প্রযোজককে।

যে সিনেমা হলে ছবিটি চলবে সেই হলের আশপাশে পোস্টার ও ব্যানার লাগানো ছাড়াও হলে দর্শকের উপস্থিতি তত্ত্বাবধানের জন্য একজন প্রতিনিধিকে পাঠাতে হয় এক হাজার টাকা দিয়ে। প্রতিনিধিকে আবার দৈনিক দিতে হয় ৫০০ টাকা। তিনিই হিসাব রাখবেন প্রত্যেক শোতে কত টাকার টিকিট বিক্রি হলো। কিন্তু এই প্রতিনিধিদের সততাও প্রশ্নবিদ্ধ। প্রতিনিধিদের একটি সমিতি রয়েছে। প্রযোজক চাইলেও নিজেদের প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন না। বিভিন্ন মহলের চাপে ওই সমিতি থেকেই নির্দিষ্ট প্রতিনিধি পাঠাতে হয় প্রযোজককে।

মুক্তির তিন উপায়

বাংলাদেশে ছবি মুক্তি পায় তিনটি পদ্ধতিতে। একটি হলো ‘মিনিমাম গ্যারান্টি’ বা এমজি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি ছবির জন্য একজন হল মালিক পরিবেশকের মাধ্যমে ২০ হাজার  থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়ে ছবি বুক করে। এই টাকা সরাসরি পান প্রযোজক। পরিবেশক এই টাকা থেকে দশ শতাংশ কেটে রাখে। হলে ছবি প্রদর্শন শুরুর পর যে টিকিট বিক্রি হয়, সেই বিক্রির ৩০ শতাংশ থেকে ভাগাভাগি হয় হল মালিক ও প্রযোজকের মধ্যে। তবে এখানে একটি ব্যাপার আছে, ৩০ শতাংশ হারে টিকিটের ওই প্রবেশ মূল্য যা ধরা থাকে, সেটি যদি দুই লাখ টাকা ছাড়ায়, কেবল তখনই উদ্বৃত্ত টাকার অর্ধেক ভাগ পান প্রযোজক। একটি টিকিটের দাম যদি হয় ১০০ টাকা, তাহলে সরকারি বিভিন্ন ট্যাক্স, ভ্যাটসহ বিভিন্ন বিল কেটে রাখার পর ৩০ টাকা হয় প্রবেশ মূল্য। এই প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা যখন দুই লাখের ঘর ছাড়ায় তখনই প্রযোজক অর্ধেক হারে টাকা পেতে থাকেন।

দ্বিতীয় পদ্ধতির নাম হলো ‘পারসেন্টেজ’, এই পদ্ধতিতে পরিবেশকের মাধ্যমে হল মালিক ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা প্রযোজককে দিয়ে ছবি নিয়ে যান। এরপর প্রবেশ মূল্য যদি হয় ৩০ টাকা, সেটা বণ্টন হয় বুকিং এজেন্ট (৬ টাকা), হল মালিক (১২ টাকা) ও প্রযোজকের (১২ টাকা) মধ্যে। এই ভাগাভাগি শেষে পরে হল মালিকরা তাদের আগে দেওয়া টাকাটাও কেটে রাখেন। যদি ছবি না চলে, তাহলেও টাকা ফেরত দিতে হয় প্রযোজককে। আর যদি ছবি চলে, তাহলে হল মালিকের কাছ থেকে টাকা পেতে প্রযোজকের ঘুরতে হয় কমপক্ষে ছয় মাস।

তৃতীয় পদ্ধতিটি পরিচিত ‘ফিক্সড’ নামে। এই পদ্ধতিতে ছবির একটি মূল্য নির্ধারণ করা হয়। হল মালিকরা অগ্রিম ও অফেরৎযোগ্য টাকা দিয়ে প্রযোজকের কাছ থেকে ছবিটি নিয়ে যান হলে চালানোর জন্য। যেহেতু লেনদেনটি হয় পরিবেশকের মাধ্যমে, তাই মধ্যসত্ত্বভোগী হিসেবে তাদের দিতে হয় দশ শতাংশ। এই পদ্ধতিতে ছবি চালানো হয় সাধারণত বড় বাজেটের, বড় কোনো তারকার ছবি হলে।   

লাভের খাতা

এর আগে যদি প্রিমিয়ার শো করা হয়, সেখানেও খরচ করতে হয় প্রযোজককে। তো সবকিছুর পর যখন দর্শক হলে গিয়ে ছবি দেখা শুরু করে তখন প্রত্যেক টিকিট থেকে সামান্য টাকাই ফেরত আসে প্রযোজকের ঘরে। টিকিট বিক্রির সিংহভাগ অর্থই চলে যাচ্ছে সরকারি খাত, হল মালিক ও মধ্যসত্ত্বভোগীদের কাছে। টিকিট বিক্রি থেকে যৎসামান্য টাকাই ঘরে তুলতে পারেন একজন প্রযোজক। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের লোকসানই গুনতে হয় প্রযোজকদের। এখন অবশ্য অনেক প্রযোজক টিভি সত্ত্ব বিক্রি ও ডিজিটাল প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে কিছু টাকা উঠিয়ে আনার চেষ্টা করেন। তবে তাতেও লাভের মুখ দেখেন না তারা। আর এ কারণেই বাংলাদেশে বেশির ভাগ প্রযোজকরা আসেন এবং হারিয়ে যান।

শেষ কথা

খুব কম ছবিই ব্যবসা সফল হয়। তারপরও রুপালি জগতের প্রতি মানুষের অন্যরকমের আগ্রহ রয়েছে বলেই এই শিল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন অনেকে। তবে অভিজ্ঞ প্রযোজকরা মনে করেন, শিল্পটিকে ভালোভাবে বুঝে ও ভালোবেসেই এখানে বিনিয়োগ করতে আসা উচিত। সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া এলে প্রযোজক হিসেবে ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কাই বেশি।