‘ভাগের মানুষ’-এর ১৮০তম প্রদর্শনী

Looks like you've blocked notifications!
‘ভাগের মানুষ’ নাটকের একটি দৃশ্য। ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রায় চার বছর পর  মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে সময় নাট্যদলের জনপ্রিয় নাটক ‘ভাগের মানুষ’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাটকটির ১৮০তম প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার  সন্ধ্যা ৭টায়।

পাকিস্তানের লেখক সাদত হাসান মান্টো’র ছোট গল্প ‘টোবাটেক সিং’ অবলম্বনে ‘ভাগের মানুষ’ নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন মান্নান হীরা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন আলী যাকের। সময় এর ২৬তম প্রযোজনাটি ১৯৯৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর প্রথম মঞ্চে আসে। দীর্ঘ ২২ বছরে দেশে-বিদেশে নাটকটির প্রদর্শনী করে আসছে দলটি। 

নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন পাভেল ইসলাম, আকতারুজ্জামান, রেজাউর রহমান রিজন, ফখরুল ইসলাম মিঠু, মানসুরা রশীদ লাভলী, মাহমুদুল আলম, তোফায়েল সরকার, সুনিতা বড়ুয়া, মাকসুদুল বারী টিপু, আনোয়ার, মৌসুমী, সানী, মাসুম প্রমুখ।

‘ভাগের মানুষ’-এর গল্পে আছে, উপমহাদেশের মানচিত্রে এক ঐতিহাসিক ঘটনা হলো ভারতবর্ষের বিভাজন। এ কেবলই মানচিত্রের বিভাজন নয়। এর সাথে জড়িয়ে আছে লক্ষ কোটি মানুষের ভাগ্য ভালোবাসা সম্পদ সঞ্চয় ও প্রণয়ের নানা ঘটনা। উপমহাদেশ থেকে ইংরেজ যখন তার তাবু গুটিয়ে নিতে বাধ্য হলো, তখনই তাদের মধ্যে এক বড় সংশয় ছিল যে, এ মানুষেরা যদি আগামীতে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মিলিতভাবে বেড়ে ওঠে তাহলে পৃথিবীর নানা সাম্রাজ্যের শক্তি হুমকির সম্মুখীন হবে। এ সংশয় থেকে শীর্ষস্থানীয় হিন্দু মুসলিম নেতাদের নিয়ে ভারত বিভাজনের চক্রান্ত করে ইংরেজরা। সফল হয় তারা। সাম্প্রদায়িক শক্তির ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীর যেকোনো জনগোষ্ঠীর এই প্রথম ও একমাত্র বিভাজন। দেশ ভাগের পর দুই দেশের মধ্যে সংগঠিভাবেই শাসকগোষ্ঠী নির্মাণ করে এক কঠোর বৈরীভাব। দীর্ঘদিনের অসাম্প্রদায়িক ভাবনা নিয়ে লালিত জনগণ তখন খাঁচায় বন্দি পাখির মতো কেবল দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে— এমন সময় ভারতবর্ষের নানা পাগলা গারদে খবর পৌঁছে যে সেখানকার হিন্দু পাগল ও মুসলমান পাগলদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। লাহোর পাগলা গারদের পাগলরা সবাই একজোট হয়ে দুই সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে প্রতিবাদ ও প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত নেয়।