টাকার অভাবে দ্রুতই হাসপাতাল ছাড়লেন বাবর

Looks like you've blocked notifications!

অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল ছেড়েছেন একসময়ের দাপুটে অভিনেতা বাবর। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি গ্যাংরিন ও যক্ষ্মা রোগে ভুগছিলেন। গতকাল ৩ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বাম পা অপারেশন করে তিনটি আঙুল ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু অর্থনৈতিক সমস্যায় অপারেশনের দিবাগত রাতেই তাঁকে বাসায় ফিরতে হয়েছে। এমনটিই জানিয়েছেন অভিনেতা বাবরের স্ত্রী লতিফা বাবর।

অভিনেতা বাবরের স্ত্রী লতিফা বাবর  এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গতকাল সন্ধায় তাঁর (বাবরের) অপারেশন হয়েছে। বাঁ পায়ে তিনটি আঙুল ফেলে দেওয়া হয়। ডাক্তার বলেছিল দু-তিন দিন হাসপাতালে থাকতে হবে। তবে হাসপাতালের খরচ বহন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই রাতেই আমরা বাসায় চলে এসেছি। এখন তিনি বাসায় বিশ্রাম করছেন। এখন চিন্তায় আছি মাঝেমধ্যে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করাতে। কীভাবে কী করব বোঝতে পারছি না।’

লতিফা বাবর  আরো বলেন, ‘উনার অবস্থা খুব ভালো নয়, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। টাকার অভাবে ঠিক মতো চিকিৎসা করাতে পারছি না। সবাই দোয়া করবেন, সৃষ্টিকর্তা যেন ভালো করে দেন।

রাজধানীর গ্রিন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শক্তিমান এই খল অভিনেতা। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার পাশাপাশি সম্প্রতি গ্যাংরিন (পায়ে পচন) সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে তার। এ জন্য গত ৩০ এপ্রিল তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত হন তিনি। তখন রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি।
আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘বাংলার মুখ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন বাবর। খল অভিনেতা হিসেবে বাবরের যাত্রা শুরু হয় রাজ্জাক প্রযোজিত ও জহিরুল হক পরিচালিত ‘রংবাজ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। এরপর তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রায় এক যুগ আগে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ‘তের গুণ্ডা এক পাণ্ডা’ চলচ্চিত্রে সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন তিনি। বাবর ‘দাগী’ নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। পরিচালনা করেছেন একমাত্র চলচ্চিত্র ‘দয়াবান’। শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র থেকে দূরে রয়েছেন তিনি।