সব ধর্মের মানুষ নিয়ে ইফতার করতেন হুমায়ূন আহমেদ
‘ইফতার করতে বসলেই আমার হুমায়ূন আহমেদ স্যারকে খুব মনে পড়ে। সাধারণত স্যারের জন্মদিন বা মৃত্যুবার্ষিকীতে সবাই স্যারকে স্মরণ করেন। আমার সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে ইফতার করার সময়। কারণ, স্যার সবাইকে নিয়ে সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি করে ইফতার করতেন। আরেকটি বিষয় ছিল স্যারের, তিনি সব ধর্মের মানুষ নিয়ে ইফতার করতে ভালোবাসতেন।’। কথাগুলো বলেন অভিনেতা ফারুক আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদের বেশির ভাগ নাটকেই তিনি কাজ করেছেন।
ফারুক আরো বলেন, ‘স্যারের প্রায় সব নাটকেই আমি অভিনয় করেছি। সারা বছর যে পরিমাণ নাটক নির্মাণ হতো, তার চেয়ে ঈদের আগে বেশি নির্মাণ হয়, কারণ ঈদের সময় ছয়-সাত দিনের টানা অনুষ্ঠান থাকে টিভি চ্যানেলগুলোর। স্যার বেঁচে থাকতে নুহাশপল্লীতেই কাটত রোজার বেশির ভাগ সময়। বিকেল থেকেই স্যার ইফতার নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন, নিজে তদারকি করতেন। ইফতারের আধাঘণ্টা আগেই সবাইকে নিয়ে বসে পড়তেন ইফতারের টেবিলে। কারো জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা থাকত না। বড়-ছোট সবাই এক সারিতে বসিয়ে ইফতার করাতেন।’
ইফতারের আইটেম নিয়ে ফারুক বলেন, ‘ইফতারের সময় স্যার সব সময় বেশি বেশি ফল রাখতেন। দেশি ফল ছিল ইফতারের মূল মেন্যু, সঙ্গে কিছু ভাজাপোড়া। তবে ইফতারের শেষে অবশ্যই থাকত গরুর মাংসের খিচুড়ি। এটা স্যার খুব পছন্দ করতেন। প্রতিদিন ইফতারের কমন মেন্যু এই খিচুড়ি। মানুষকে ইফতার করানো কত পছন্দ করতেন, তা বলে বোঝানো যাবে না। এখন যখন বিভিন্ন নাটকের সেটে ইফতার করি, তখন স্যারকে অনেক মিস করি। সবাই দোয়া করবেন, স্যার যেখানে আছেন, আল্লাহ যেন ভালো রাখেন।’