‘সিঁদুর দেখে অনেকের প্রশ্ন, আমি কি হিন্দু হয়ে গেলাম?’

Looks like you've blocked notifications!
কলকাতার অভিনেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান। ছবি : সংগৃহীত

বিয়ের পর প্রথম দিন সংসদে গিয়েই প্রচারের আলো কেড়ে নেন কলকাতার বাংলা সিনেমার নায়িকা তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান। শাড়ি, মেহেদি, সিঁদুর পরে যখন শপথ নিচ্ছিলেন, সবার নজর ছিল তাঁর দিকে। ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়েও সিঁদুর পরায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এবার মুখ খুললেন নুসরাত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নুসরাত বলেছেন, ‘আমার মাথায় সিঁদুর দেখে অনেকে প্রশ্ন করেছেন, আমি কি হিন্দুকে বিয়ে করে হিন্দু হয়ে গেলাম? আমার তো মনে হয় কোন ধর্ম অনুসরণ করব, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সবার রয়েছে। আমি জন্মসূত্রে ইসলাম। সেটাই অনুসরণ করছি। কিন্তু সব ধর্ম এবং তার নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে আমার। আমি এবং আমার স্বামী আমাদের ধর্ম পালন করছি। আমার তো মনে হয় এটাই স্বাভাবিক।’

কয়েক দিন আগে নিখিল জৈনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে বাধা পড়েন নুসরাত জাহান। তুরস্কের বোদরুম শহরে ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হয় নুসরাতের। রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে গত ২৩ জুন কলকাতায় ফেরেন নবদম্পতি। এর পরই পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ২৫ জুন নবনির্বাচিত সাংসদ হিসেবে শপথ নেন।

অভিনয় জীবনেও বেশ কয়েকবার বিদ্রুপের (ট্রোলিং) শিকার হয়েছেন নুসরাত। সংসদের প্রথম দিন থেকেও ট্রোলিং-এ জড়িয়ে গেল তাঁর নতুন ক্যারিয়ার। তবে এ সব ঘটনাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ নায়িকা।

নুসরাতের ভাষায়, ‘আমি যে কতবার ট্রোলড হয়েছি, তার কোনো হিসেব নেই। আমার তো মনে হয় ট্রোলিং ভালোবাসারই ভিন্ন প্রকাশ। আসলে এ সবই মানুষ করেন দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। মনোযোগ না পেলেই ট্রোলিং শুরু করেন। জীবনে নেগেটিভিটিকে কখনো গুরুত্ব দিইনি। কাজই সব সময় আমার হয়ে কথা বলেছে। এবারও তাই হবে।’

পেশায় ব্যবসায়ী নিখিলের সঙ্গে নুসরাতের কাজের মাধ্যমেই আলাপ। পরে তা গড়ায় গভীর বন্ধুত্বে। দুই বাড়ির সম্মতিতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন এ দম্পতি।

শোনা যাচ্ছে, আগামী ৪ জুলাই রয়েছে নুসরাত-নিখিলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। বিয়ের পর ইউরোপে মধুচন্দ্রিমা কাটাবেন এ দম্পতি, এ গুঞ্জনও রয়েছে। ভারতের পত্রপত্রিকার খবর, কলকাতার আলিপুরে নতুন একটি ফ্ল্যাটে থাকবেন নবদম্পতি। তাঁদের ফ্ল্যাট সাজানোর কাজও শেষ। সূত্র : আনন্দবাজার