৯ দিনে আয় ১৬৩ কোটি

Looks like you've blocked notifications!
‘কবির সিং’ সিনেমার দৃশ্যে শহিদ কাপুর ও কিয়ারা আদভানি। ছবি : সংগৃহীত

সমালোচনা সত্ত্বেও বলিউড তারকা শহিদ কাপুরের সাম্প্রতিক সিনেমা ‘কবির সিং’ ভারতের বক্স অফিসে শাসন জারি রেখেছে। সন্দীপ রেড্ডি বাঙ্গা পরিচালিত এ ছবির নায়িকা ‘লাস্ট স্টোরিস’ খ্যাত কিয়ারা আদভানি।

নবম দিনের সংগ্রহ যোগে ভারতের বক্স অফিসে ‘কবির সিং’-এর সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬৩ কোটি রুপির বেশি। বলিউডের বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মত, খুব সহজেই চলতি বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা হতে চলেছে এ ছবি। আর ভারতের বক্স অফিসে সাকল্যে ৩০০ কোটি রুপি আয় করবে বলে মত তাঁদের।

‘নারীবিদ্বেষী’, ‘পুরুষতান্ত্রিক’ সিনেমা আখ্যা দিয়ে অনেকেই কঠোর সমালোচনা করলেও বক্স অফিসে এর প্রভাব পড়ছে না।

চলচ্চিত্র সমালোচক ও বাণিজ্য বিশ্লেষক তারান আদর্শ টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, মুক্তির নবম দিনে ১৫০ কোটির ঘরে প্রবেশ করেছে ‘কবির সিং’। আজ অর্থাৎ দশম দিনে ১৭৫ কোটির ক্লাবে ঢুকবে এ ছবি। গতকাল শনিবার ‘কবির সিং’ সংগ্রহ করে ১৭ কোটি ১০ লাখ রুপি। সে হিসাবে নয় দিনে মোট সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৬৩.৭৩ কোটি রুপি।

চলতি বছরে মুক্তি পাওয়া (২৯ জুন পর্যন্ত) সিনেমাগুলোর মধ্যে বক্স অফিস সংগ্রহে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ‘কবির সিং’। প্রথম স্থানে ভিকি কুশলের ‘উরি’, দ্বিতীয় স্থানে সালমান খানের ‘ভারত’, চতুর্থ স্থানে অক্ষয় কুমারের ‘কেসারি’ ও পঞ্চম স্থানে অজয় দেবগনের ‘টোটাল ধামাল’।

গত ২১ জুন ভারতের তিন হাজার ১২৩টি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পায় ‘কবির সিং’। সন্দীপ রেড্ডি বাঙ্গা পরিচালিত তেলেগু হিট ‘অর্জুন রেড্ডি’র হিন্দি ভার্সন এ ছবি। প্রথমবারের মতো পরিচালক সন্দীপের সঙ্গে কাজ করলেন শহিদ কাপুর। ভক্তদের তুমুল সাড়া পাওয়ায় তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শহিদ।

সিনেমার গল্পে রয়েছে, সাবেক প্রেমিকা প্রীতির (কিয়ারা) অন্যত্র বিয়ের পর ছন্নছাড়া হয়ে যায় কবির সিং (শহিদ)। এরপর আত্মবিধ্বংসী পথ বেছে নেয় কবির। সারাক্ষণ মদ আর ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়ে। হয়ে পড়ে আত্মনিয়ন্ত্রণহীন। ট্রেইলারে রাগান্বিত শহিদকে দেখা গেছে। মারপিটের দৃশ্যও রয়েছে। অন্যদিকে, কিয়ারা স্নিগ্ধ। শহিদ ও কিয়ারার চুমুর দৃশ্যও ঝড় তুলেছে অন্তর্জালে।

‘কবির সিং’ সিনেমায় প্রথমবার শহিদ কাপুরের সঙ্গে অনস্ক্রিন রোমান্স করলেন কিয়ারা আদভানি। এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন সুরেশ ওবেরয় ও নিকিতা দত্ত। প্রযোজনা করেছেন মুরাদ খেতানি, অশ্বিন বর্দে ও টি-সিরিজ।