আইনে সাবেক স্বামী, প্রেমে বর্তমান!
চৌদ্দ বছর পর সোনার সংসার ভেঙে গিয়েছিল, তাও পাঁচ বছর আগে। তারপর আবার মনের মিল। নির্ভরতা। এখন এ যুগলকে দেখে বোঝা ভার আইনগতভাবে তাঁরা ‘সাবেক’ স্বামী-স্ত্রী। বলা হচ্ছে, বলিউড দম্পতি হৃতিক রোশন ও সুসান খানের কথা।
হৃতিক-সুসানের সম্পর্কের রসায়ন এখনো দারুণ। দুজনের সন্তান রিহান ও রিধানের খেয়ালও রাখছেন সমানতালে। পরশু (৪ আগস্ট) রাতে এ যুগল মুম্বাইয়ের একটি সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখে বন্ধু দিবস উদযাপন করেছেন। কী দারুণ, তাই না?
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিএনএর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে হৃতিক সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ব্যাপারে মুখ খোলেন। বলেন, ‘এটি খুবই দুঃখজনক যে আমাদের রসায়নকে অন্যরকম হিসেবে দেখা হচ্ছে। অথচ আমাদের শান্তি ও সুখের জন্য এটিকে সাধারণভাবেই দেখা উচিত। বিশেষত, আমাদের সন্তানদের জন্য এটি ভীষণ প্রয়োজন।’
হৃতিক আরো বলেন, ‘এমনকি এখনো আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেন, কেন আমি সুসানের সঙ্গে ভালো আচরণ করি! আমি তাদের বলি, একজন পিতা হিসেবে আমার সন্তানদের দেখাতে চাই যে তাদের মা যথার্থ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পায়। তাদের শিখতে হবে যে দুজন মানুষ আলাদা হতে পারে, কিন্তু পরিবারের মতোই একতাবদ্ধ থাকতে পারে তারা।’
হৃতিক ও সুসানের মধ্যে শৈশব থেকেই হৃদ্যতা ছিল। তারা ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বরে বিয়ে করেন। ২০১৪ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সন্তানদের যৌথভাবে সঙ্গে রাখার অনুমতি পান তাঁরা।
গুঞ্জন রয়েছে, সুসানের প্রতি হৃতিক ‘অবিশ্বস্ত’ ছিলেন, যা তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে। যা হোক, ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে হৃতিক সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দেন। ‘একদমই না। আমার হাসি পায় এসব শুনলে। বিচ্ছেদ মানেই সব সময় পুরুষের অবিশ্বস্ততা নয়। এ ধরনের গুঞ্জন হীনমন্যতার পরিচায়ক,’ বলেছিলেন হৃতিক।
হৃতিক আরো বলেন, ‘আলাদা থাকার পেছনে অনেক কারণ থাকে। অনেকেই ভাবে, হৃতিক একজন সুপারস্টার, নিশ্চয়ই সে বড় কোনো ভুল করেছে এবং ধরাও পড়েছে। বিষয়টি আসলে মোটেই এ রকম নয়। আমরা যে কারণে আলাদা থাকছি, তা একটি অনুপ্রেরণাদায়ক কারণও হতে পারে।’ সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে