২০১৪-১৫ সালে কঠিন সময় পার করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া, যিনি প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বোন। কি ব্যক্তিগত জীবন, কি পেশাগত জীবন—জীবনে ছন্দপতন ঘটেছিল। সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন দিনগুলোর কথা এখনো স্মরণে এলে আঁতকে ওঠেন নায়িকা।

সম্প্রতি ফিল্ম কম্প্যানিয়নকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষণ্ণতার সঙ্গে নিজের যুদ্ধের কথা জানান পরিণীতি চোপড়া। কীভাবে এ থেকে বেরিয়ে এসেছেন, সে সম্পর্কেও বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।

পরিণীতি চোপড়া বলেন, “সত্যি বলছি, ২০১৪ সালের শেষের দিকে ও ২০১৫ সালের পুরোটা, প্রায় দেড় বছর আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়। আমার ‘দাওয়াত-ই-ইশক’ ও ‘কিল দিল’ নামের দুটো ছবিই ভালো করেনি। হঠাৎই আমার কাছে কোনো অর্থকড়ি ছিল না। আগে অবশ্য প্রচুর কামিয়েছি, কিন্তু একটি বাড়ি কিনেছিলাম আর কিছু বড় খাতে বিনিয়োগ করে ফেলেছিলাম। তারপরই জীবনের সবচেয়ে হৃদয়ভাঙা কাণ্ড ঘটে। আক্ষরিক অর্থেই, জীবনের সবকিছুতেই পতন নেমে এসেছিল। সামনে ইতিবাচক কিছুই দেখছিলাম না।”

‘খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল। ওই সময় আমার কোনো বন্ধুও ছিল না। মানুষের সঙ্গে দেখাও করতাম না। যাদের সংস্পর্শে ছিলাম, প্রত্যেকের সঙ্গেই যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলাম, এমনকি পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও। দুই সপ্তাহে একবার কথা বলতাম তাদের সঙ্গে। আমি শেষ হয়ে গিয়েছিলাম। ঘরকুনো হয়ে গিয়েছিলাম। টিভি দেখে, শুয়েবসে সারা দিন কাটত। একদম সিনেমার বিষণ্ণ মেয়ের মতো হয়ে গিয়েছিলাম,’ যোগ করেন ‘নমস্তে ইংল্যান্ড’ তারকা।

তবে পরিণীতি চোপড়াকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁর ভাই সহজ আর রূপবিশেষজ্ঞ বন্ধু সানজানা বাত্রা। তবুও প্রতিটি দিনই ছিল লড়াইয়ের।

‘দিনে অন্তত ১০ বার কান্না করতাম। সব সময় হতাশ থাকতাম। কাঁদতাম। বুকে প্রচণ্ড ব্যথা ছিল, আর সেটা বুক থেকে যেন বেরও হচ্ছিল না। এর আগে কখনোই বিষণ্ণতায় ভুগিনি, বুঝিনি ডাক্তারি বিদ্যার বিষণ্ণতা কাকে বলে। সে সময় আমার জীবনে সেটা হয়েছিল,’ বলেন পরিণীতি।

২০১৬ সালের শুরুর দিকে কিছুটা আলো আসে পরিণীতি চোপড়ার জীবনে। কাজ শুরু করেন। ‘গোলমাল অ্যাগেইন’ ও ‘মেরি পিয়ারি বিন্দু’ ছবির সঙ্গে চুক্তি করেন। নতুন বাড়িতেও ওঠেন। এরপরই তাঁর মনে হয়ে, জীবন হাতের মুঠোয় এলো তাঁর।

পরিণীতি চোপড়া এখন তাঁর নতুন সিনেমা ‘জাবারিয়া জোড়ি’র মুক্তির অপেক্ষায়। এতে তিনি জুটি বেঁধেছেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সঙ্গে। সিনেমার পটভূমি, ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বর অপহরণের ঘটনা। একেবারেই হাস্যরসাত্মক ছবি। বড়পর্দায় উঠবে ৯ আগস্ট। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে