চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির শপথ ও দায়িত্ব গ্রহণ
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের শপথ গ্রহণ ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রযোজক নেতারা।
নবনির্বাচিতদের শপথবাক্য পাঠ করান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সেলিম হোসেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন খোরশেদ আলম খসরু, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শাসমুল আলম।
গত ২৭ জুলাই বিএফডিসির জহির রায়হান ভিআইপি প্রজেকশন হলে প্রথম ধাপের নির্বাচিত হন ১৯ জন প্রযোজক। এর পর গত ২৯ জুলাই তাঁরা ভোট প্রদানের মাধ্যমে নতুন কমিটির বিভিন্ন পদের প্রার্থীদের নির্বাচন করেন।
খোরশেদ আলম খসরু ও শাসমুল আলম ছাড়াও সিনিয়র সহসভাপতি পদে কামাল মো. কিবরিয়া লিপু, সহসভাপতি পদে মো. শহীদুল আলম (সাচ্চু), সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে মো. ইকবাল ও মো. আলিমুল্লাহ খোকন, কোষাধ্যক্ষ পদে মেহেদী হাসান সিদ্দিকী মনির, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক পদে মোর্শেদ খান হিমেল এবং আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে ইলা জাহান নদী বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচিত এই নতুন কমিটি ২০১৯-২১ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্রের মাদার সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নেতৃত্ব দেবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিরাজুল ইসলাম উকিল। তাঁর সহযোগী হিসেবে ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. জালাল উদ্দিন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনকৃত এফবিসিসিআইর অঙ্গসংগঠন। মামলা ও নানা জটিলতার কারণে সাত বছর ধরে বন্ধ ছিল এই সমিতির নির্বাচন। এর আগে নির্বাচন হয় ২০১১ সালের ১৮ আগস্ট।
২০১৬ সালে প্রযোজক নাসির হোসেনের করা রিটের কারণে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পরপর তিনবার কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না—এফবিসিসিআইর অধীন সংগঠনের এমন নির্বাচনী রীতির খেলাপ করা হয়েছে মর্মে নাসির হোসেন বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নির্বাচন স্থগিত করেন।
এর আগে ২০১৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মামলার কারণে নির্বাচন সাময়িক বন্ধ করা হয়েছিল। এরপর সে বছর ২৯ অক্টোবর দুই দলই চলচ্চিত্রের স্বার্থে নাসিরুদ্দিন দিলুকে আহ্বায়ক করে ২২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা শপথ গ্রহণ করার পর চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট বহু সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।