রণবীরের আগে আলিয়ার জীবনে আর কারা ছিলেন?
অবশেষে নিজের ভালোবাসার মানুষ খুঁজে পেয়েছেন আলিয়া ভাট। রণবীর কাপুরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবেন বলেই বিনোদন সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর। রণবীরের আগে অবশ্য বেশ কয়েকজন তারকার নাম জড়িয়েছে আলিয়ার নামের পাশে। অবশ্য কিছু নামের ক্ষেত্রে সত্যতা পাওয়া যায়, আবার কেউ কেউ ছিলেন আলিয়ার শুধুই বন্ধু।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘সঞ্জু’ তারকা রণবীর কাপুরের আগে আলিয়া ভাটের সম্পর্ক ছিল, এমন পাঁচজনের গল্প জেনে নেওয়া যাক—
আরসালান
নেহা ধুপিয়ার এক শোতে আলিয়া ভাট প্রকাশ করেন, তাঁর প্রেমিক ছিলেন আরসালান। সাবেক প্রেমিক সম্পর্কে আলিয়া বলেন, ‘হ্যাঁ, আরসালান আমার প্রথম বয়ফ্রেন্ড। সে খুব মিষ্টি ছিল। অবশ্য খুব কর্তৃত্বপরায়ণ ছিল, অবিরাম কুর্তা ও জিন্স পরতে বাধ্য করত।’ তিনি আরো বলেন, ‘স্ন্যাপচ্যাটে আমি ওকে অনুসরণ করি। সব সময় জিমে থাকে। গ্রাফিক ডিজাইন করে। সুখেই আছে।’
আলি দাদারকার
আলিয়া ভাট ও আলি দাদারকার শৈশবের বন্ধু। পত্রপত্রিকার খবর, করণ জোহরের ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’-এ অভিষেক হওয়ার আগে দুজন প্রেম করতেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলিয়া ভাট ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার প্রেম হওয়ার পরও আলি চেয়েছিলেন আলিয়া ফিরে আসুক। স্পটবয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাঁদের বন্ধু আকাঙ্ক্ষার বিয়েতে গিয়েছিলেন আলি। আর সেখানেও আলিয়ার ফেরার জন্য কত কাকুতি-মিনতিই না করেছেন!
কেভিন মিত্তাল
সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ও রণবীর কাপুরের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনের আগে ‘হাইক মেসেঞ্জার’ প্রতিষ্ঠাতা কেভিন মিত্তালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরে শিরোনাম হয়েছিলেন আলিয়া ভাট। ধনকুবের সুনীল মিত্তালের ছেলে কেভিন মিত্তাল। তাঁদের প্রথম দেখা হয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে। আলিয়া-কেভিনের সম্পর্ক নিয়ে মিড ডে-এর পুরোনো প্রতিবেদন বলছে, ‘বন্ধুত্বকে পরবর্তী ধাপে নিতে তাঁরা সময় নিচ্ছেন। খুব অল্প সময়ই তাঁদের দেখা হয়েছে। কিন্তু বন্ধুত্ব হয়েছে এটা নিশ্চিত, তবে সেটা যেতে পারে বহুদূর।’
বরুণ ধাওয়ান
বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে সম্পর্কের জেরেও খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন আলিয়া ভাট। অবশ্য করণ জোহরের চ্যাট শো ‘কফি উইথ করণ’-এ তাঁরা বলেছিলেন, জীবনসঙ্গী হতে চান না তাঁরা। বরুণ এখন প্রেম করছেন নাতাশা দালালের সঙ্গে।
সিদ্ধার্থ মালহোত্রা
‘কাপুর অ্যান্ড সন্স’ ছবির সেটে একে অন্যের প্রেমে পড়েন আলিয়া ভাট ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। পরে অবশ্য তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বি-টাউনে গুঞ্জন ছিল, সাবেক এই প্রেমিকযুগলের সম্পর্ক বরফশীতল হয়েছিল নানা তিক্ততায়। তবে একবার ‘কফি উইথ করণ’-এ সিদ্ধার্থকে জিজ্ঞেস করা হয়, বিচ্ছেদ হওয়ার পেছনে কি কোনো কঠিন মুহূর্ত আছে? ‘না, সেভাবে ভাবি না। অনেক সময় পেয়েছি। একটাই কারণ—দুজন মানুষ আর একসঙ্গে থাকতে চাইছে না। অনেক উত্থান-পতন আছে,’ বলেন সিদ্ধার্থ।