দ্বিতীয় স্বামীর ‘নোংরামি’ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রীর প্রথম স্বামী

Looks like you've blocked notifications!
দ্বিতীয় স্বামী অভিনবর সঙ্গে শ্বেতা ও তাঁর প্রথম পক্ষের মেয়ে পলক। ছবি : সংগৃহীত

ফের বিয়ে ভাঙার মুখে ভারতের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি। গত রোববার দ্বিতীয় স্বামী অভিনব কোহলির বিরুদ্ধে থানায় গুরুতর অভিযোগ করেছেন শ্বেতা। মাতাল অবস্থায় ঘরে ফিরে অভিনব তাঁর সৎমেয়ে পলককে মারধর করেছেন। প্রথম পক্ষের মেয়েকে ‘নোংরা কথা’ বলারও অভিযোগ শ্বেতার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের কান্দিভালি পুলিশ স্টেশনে হাজির হয়ে অভিনব কোহলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন শ্বেতা তিওয়ারি। ওই সময় থানায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেয়ে পলকও। থানায় হাজির হয়ে শ্বেতা চিৎকার করে কান্না শুরু করেন। পরে অভিযোগ করেন, অভিনব নাকি মাতাল অবস্থায় ঘরে ফিরে মেয়ে পলককে মারধর করেছেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেছেন। শ্বেতার আরো অভিযাগ, ২০১৭ সাল থেকে অভিনব নাকি শ্বেতার প্রথম পক্ষের মেয়ে পলককে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি দেখাতে শুরু করেন।

পরে অভিনবর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-এর এ, ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬, ৫০৯ ও ৩৪২-এর ১৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন শ্বেতা। ইন্ডিয়া টিভির অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদন জানিয়েছে, অভিযোগের পর অভিনবকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।

প্রথম স্বামী রাজা চৌধুরীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০১৩ সালে অভিনব কোহলির সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন ‘কৌসুতি জিন্দেগি কি’ অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি। তাঁদের ঘরে রয়েছে এক পুত্রসন্তান। আর শ্বেতা-রাজার কন্যাসন্তান পলক তিওয়ারি।

প্রথম স্বামী রাজা চৌধুরী ও কন্যা পলকের সঙ্গে শ্বেতা তিওয়ারি। ছবি : সংগৃহীত

এবার অভিনব কোহলির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন শ্বেতা তিওয়ারির প্রথম স্বামী রাজা চৌধুরী। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজার দাবি, শ্বেতা যখন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন এবং বাড়ির বাইরে থাকতেন, তখন নাকি মেয়ে পলকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন অভিনব। শুধু তাই নয়, শ্বেতা বাড়িতে না থাকলে অভিনব নাকি পলকের শরীরও স্পর্শ করতেন অশ্লীলভাবে, যা রাজার চোখে পড়েছে একাধিকবার।

বোম্বে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজা চৌধুরী আরো বলেন, ‘মিডিয়ার মাধ্যমে আমি সব জেনেছি। আমার মেয়ের (পলক তিওয়ারি) সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, সকালেও কথা বলেছি। ও আমাকে বলেছে দুশ্চিন্তা না করতে, সে ভালো আছে। বাবা হিসেবে এসব আমার জন্য খুব বিব্রতকর।’

রাজা চৌধুরীর দাবি, তিনি একবার শ্বেতা-অভিনবর মালাডের বাড়িতে যান মেয়ে পলকের সঙ্গে দেখা করতে। আর সেখানেই অভিনবর অশ্লীলতা তাঁর চোখে পড়ে। মেয়েকে অশ্লীলভাবে ছোঁয়ার অভিযোগে ওই দিন অভিনবর সঙ্গে তাঁর কথাকাটাকাটি হয় এবং শেষে তা হাতাহাতির পর্যায়েও পৌঁছায়।

তবে নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পলক তিওয়ারি বলেছেন, সৎবাবা অভিনব কোহলি কখনো তাঁকে শারীরিক লাঞ্ছনা বা আপত্তিকর স্পর্শ করেননি। তবে নিজেকে ‘পারিবারিক নির্যাতনের’ শিকার বলেছেন।

এদিকে, ছেলের সমর্থনে মুখ খুলেছেন অভিনব কোহলির মা। তিনি বলেছেন, পুত্রবধূ শ্বেতা তিওয়ারি বিচ্ছেদ চাইছেন। অভিনব নির্দোষ।