কখনো আশা ছাড়িনি, মানুষের ভালোবাসায় কৃতজ্ঞ : রানু

Looks like you've blocked notifications!
সংগীতশিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে রানু মণ্ডল। ছবি : সংগৃহীত

কলকাতার রানাঘাট রেলস্টেশনের ভবঘুরে গায়িকা থেকে রাতারাতি অন্তর্জাল তারকা রানু মণ্ডল। মুম্বাইয়ে জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে গান রেকর্ডিং করে প্রচারের সব আলো তাঁর ওপর। প্রথাগত শিক্ষা ছাড়াই গান গেয়ে সেলিব্রেটি রানু। তাঁকে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই জনমানসে।

কিংবদন্তি শিল্পী লতা মঙ্গেশকরের ‘এক পেয়ার কা নাগমা’ গেয়ে অন্তর্জালবাসীকে চমকে দেন রানু মণ্ডল। তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হয়ে গায়ক, সংগীত পরিচালক, অভিনেতা হিমেশ রেশমিয়া তাঁকে নিজের সিনেমা ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’ ছবিতে গাওয়ার সুযোগ করে দেন। অবশেষে গতকাল মুক্তি পায় ‘তেরি মেরি কাহানি’ গানটি। মুক্তি পরই অন্তর্জালে ঝড় তুলেছে বহুল প্রতীক্ষিত এ গান।

হিন্দুস্তান টাইমস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গতকাল গানটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রানু মণ্ডল বলেছেন, এই সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। গণমাধ্যমকর্মীদের রানু বলেন, ‘মানুষের ভালোবাসা পেয়ে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। তাঁদের ভালোবাসার জন্যই আমি গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। হিমেশজি আমাকে এই বড় সুযোগ করে দিয়েছেন, আমার কণ্ঠের ওপর আস্থা রেখেছেন,’ আমি খুবই কৃতজ্ঞ।

‘ওই ভালোবাসা না পেলে আমি গান গাইতে পারতাম না। সৃষ্টিকর্তার ভালোবাসা পেয়েছি, এ জন্যই গান গাইতে পারছি,’ যোগ করেন রানু।

৫৮ বছর বয়সী এই গায়িকা বলেন, তিনি কখনো আশাহত হননি। ‘যখন গাইতাম, ভাবতেই পারিনি এমন দিন আসবে। কিন্তু নিজের কণ্ঠের প্রতি আস্থা ছিল। আমি লতাজির কণ্ঠ (লতা মঙ্গেশকর) দ্বারা অনুপ্রাণিত, সেই ছোট থেকে গাইছি। এমনকি ভবিষ্যতেও এভাবে গেয়ে যাব,’ বলেন রানু।

রানু আরো বলেন, ‘আমি কখনোই আশা ছাড়িনি। হ্যাঁ, আমাকে এই জায়গায় এনে দিয়েছেন হিমেশজি, যা আমি ভাবতেও পারিনি। এর আগেও স্টেজে গেয়েছি, কিন্তু সেসব অনেক বছর হয়ে গেছে।’ রানু বলেন, সংগীতের সঙ্গে তাঁর বন্ধন কখনো ছুটে যাবে না।