ঘন ঘন বানসালির অফিসে কেন যাচ্ছেন আলিয়া?
বলিউডে এখন আলিয়া ভাটের বৃহস্পতি তুঙ্গে। তারকা পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘ইনশাআল্লাহ’ সিনেমায় প্রথমবারের মতো সুপারস্টার সালমান খানের সঙ্গে রোমান্স করতে দেখা যাবে এ সুন্দরীকে—এমন খবরে উল্লসিত হয়েছিল পুরো বি-টাউন। কিন্তু শুটিং শুরুর মাত্র তিন দিন আগে এলো দুঃসংবাদ।
শুটিংয়ের তিন দিন আগে মাইক্রো-ব্লগিং সাইট টুইটারে সালমান প্রকাশ্যে জানান, সঞ্জয় লীলা বানসালির ছবিটিতে কাজ করছেন না। তবে ২০২০ সালের ঈদে অন্য কোনো ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে।
এরপর বানসালি প্রডাকশনসের অফিশিয়াল টুইটার পেজে বলা হয়, আপাতত ‘ইনশাআল্লাহ’ ছবির কাজ স্থগিত করা হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা চাইলে পরবর্তী ঘোষণা দ্রুতই জানানো হবে।
সালমানের সঙ্গে কাজ করবেন, এমন খবরে খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন আলিয়া ভাট। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মনে আছে, আমি সত্যিই লাফ দিয়ে উঠেছিলাম। নিজ শহরে ছিলাম না, দেশের বাইরে ছিলাম। কী যেন একটা করছিলাম। হঠাৎ কল এলো। শুনে এক দৌড়ে ঘরের কোণে চলে গেলাম, লাফিয়ে উঠেছিলাম। মনে আছে, উত্তেজনায় আমি পাঁচ মিনিট ধরে লাফিয়েছি।’
কিন্তু ‘ইনশাআল্লাহ’ ছবিতে সালমান কাজ করছেন না, এ ঘোষণার পর হতাশ হয়ে পড়েছেন আলিয়া ভাট। ডিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বাইয়ে সঞ্জয় লীলা বানসালির অফিসে বেশ কয়েকবার দেখা গেছে আলিয়াকে। তবে কি ‘ইনশাআল্লাহ’র কাজ ফের শুরু হচ্ছে? সালমানের পরিবর্তে নতুন কোনো নায়ক যোগ দিচ্ছেন এ ছবিতে? নানা জল্পনা চলছে বি-টাউনে।
প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে সঞ্জয় লীলা বানসালির অফিসে ঢুঁ মারতে দেখা যাচ্ছে ‘রাজি’ তারকাকে। এ তারকা পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন আলিয়া, পরে ছবিটির শুটিং বাতিল করা হয়। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায়ও বানসালির অফিসে দেখা যায় আলিয়াকে।
১৯৯৬ সালে ‘খামোশি : দ্য মিউজিক্যাল’ দিয়ে পরিচালক হিসেবে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন বানসালি। এই পরিচালক-প্রযোজকের ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে, যেখানে অভিনয় করেন সালমান খান, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অজয় দেবগন। বানসালির ‘সাওয়ারিয়া’ ছবিতে বিশেষ দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল সালমান খানকে, এ ছবি দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় রণবীর কাপুর ও সোনম কাপুরের।
বানসালির ছবিতে সালমান ফিরবেন কি না, নাকি অন্য কোনো তারকার সঙ্গে আলিয়ার জুটি হবে, সে খবর জানতে আরো অপেক্ষা করতে হবে।