ভেস্তে গেল মৌসুমীর প্যানেল, ‘প্রতিবাদে’ লড়বেন একা

Looks like you've blocked notifications!
চিত্রনায়িকা মৌসুমী। ছবি : সংগৃহীত

আগেই গুঞ্জন ছিল, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনে মৌসুমী-ডি এ তায়েবের প্যানেল ভেস্তে যেতে পারে। আশঙ্কা সত্যি হলো। তবে ‘প্রতিবাদের ভাষা’ হিসেবে সভাপতি পদে স্বতন্ত্র লড়বেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী।

মৌসুমীর প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল ডি এ তায়েবের। সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্রও কিনেছিলেন। কিন্তু জমা দেওয়ার শেষ দিনে আজ (বৃহস্পতিবার) মিলল না তাঁর দেখা। ডি এ তায়েব মনোনয়নপত্র জমা দেননি। অর্থাৎ এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না তায়েব।

এদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন খলনায়ক ইলিয়াস কোবরা। শোনা যাচ্ছে, ডি এ তায়েব প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায় জায়েদ খানের জয়ের পথ অনেকটাই সহজ হয়ে গেল।

বহু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল হচ্ছে। একটি মৌসুমী-ডি এ তায়েব ও অন্যটিতে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল। দুই প্যানেলের পক্ষ থেকে ২১ জন করে প্রার্থীর জন্য মোট ৬০টি মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করা হয়েছিল।

তবে চলচ্চিত্রপাড়ায় গুঞ্জন ছিল, মৌসুমী-ডি এ তায়েবের প্যানেলটি ভেস্তে যেতে পারে। গতকাল বুধবার সেই ইঙ্গিত দেন মৌসুমীর স্বামী, জনপ্রিয় অভিনেতা ওমর সানী নিজেও। মিশা-জায়েদ প্যানেলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘ওঁরাই তো আমাদের প্যানেল করতে দিচ্ছেন না।’ আজ মৌসুমীর বক্তব্যে ‘প্রতিবাদের ভাষা’ শব্দবন্ধ আর গতকালের সানীর ইঙ্গিত—দুইয়ে দুইয়ে চার মিলল।

সভাপতি পদে এবার খলনায়ক মিশা সওদাগর ও নায়িকা মৌসুমীর লড়াই ভালোই জমবে, এমন রব চলচ্চিত্রপাড়ায়। তবে জায়েদ খান অনেকটা নির্ভার বলেই শোনা যাচ্ছে।

আজ এফডিসিতে স্বতন্ত্র হিসেবে সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে মৌসুমী বেশ ক্ষোভের সঙ্গেই বলেন, প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে এ নির্বাচন করছেন। অনেক ধরনের অনিয়ম আছে সমিতিতে। জয়ী হলে সেসব নির্মূল করার শপথ নেন। তাঁর ভেস্তে যাওয়া প্যানেল থেকে অনেকের নির্বাচন করার কথা ছিল। কিন্তু ‘ওপরের নির্দেশে’ সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে মৌসুমী বলেন, ‘আমাকেও চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। কেউ যেহেতু এ বিষয়ে কিছু বলছেন না, আমিও বলতে চাই না। এটা জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচন নয় যে এ নিয়ে রাজনীতি করতে হবে।’ ক্ষোভটা যে তরতাজা তা মৌসুমীর কথাতেই স্পষ্ট।

যা হোক, এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিন সদস্যের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম খান। বাকি দুজন সদস্য হলেন পরিচালক সোহানুর রহমান ও রশিদুল আমিন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা দিয়ে শুরু হয় ২০১৯-২১ দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। পরে খসড়া ভোটার তালিকায় ৪৪৯ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৫ অক্টোবর। ওই দিনই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্রপাড়া সরগরম।