‘ফেসবুকে শোক, অথচ জানাজায় আসেন না’

Looks like you've blocked notifications!

‘বাবরের অসুস্থতার খবর শুনে আমি ছুটে গিয়েছিলাম। তিনি মারা যাওয়ার পর এফডিসিতে লাশ আনার বিষয়ে মিশা-জায়েদ সব সময় পাশে থেকেছেন। তাঁদের কাজে মুগ্ধ হয়ে আবারও নির্বাচন করছি। সংগঠনে তাঁরা নিজেরা অনেক কন্ট্রিবিউট করেছেন। সংগঠনকে ভালোবেসে আমিও এক লাখ টাকা দিয়েছি। সব সময় সমিতিকে দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু নেওয়ার নয়।’ কথাগুলো এনটিভি অনলাইনকে বলেন নায়িকা অঞ্জনা সুলতানা।

আগামী ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। তিনি মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্যপদে নির্বাচন করছেন।

এ বিষয়ে অঞ্জনা বলেন, ‘মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়ে গত দুই বছরে আমি সমিতির বিভিন্ন কাজে অংশ নিয়েছি। মিশা-জায়েদ সংগঠনের জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন। সিনিয়র শিল্পীদের সম্মান করেছেন। এ ছাড়া অসহায় শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। চলচ্চিত্রাঙ্গনের কোনো সদস্য মারা গেলে কিংবা অসুস্থতার খবর পেলে ছুটে গেছেন মিশা-জায়েদ। অথচ অনেক শিল্পীই আছেন, যাঁরা শুধু ফেসবুকে শোক প্রকাশ করেন। অথচ এফডিসিতে জানাজা পর্যন্ত পড়তে আসেন না।’

অভিনয়, নৃত্য ও মডেলিং—এ তিন মাধ্যমেই অঞ্জনা সফলতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’। কিন্তু দর্শকের সামনে প্রথম আসেন মাসুদ পারভেজের ‘দস্যু বনহুর’ সিনেমার মাধ্যমে। নায়করাজ রাজ্জাকের সঙ্গে সর্বাধিক ৩০টি সিনেমার নায়িকা অঞ্জনা।

‘পরিণীতা’, ‘গাংচিল’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান অঞ্জনা। এ ছাড়া দুবার বাচসাস, দুবার নৃত্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। তা ছাড়া ১৯৯৮ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে নৃত্যে প্রথম হয়ে জিতে নেন হলিউড অ্যাওয়ার্ড।