নিয়ম মানতে হবে শিল্পীদের, নইলে কঠোর ব্যবস্থা

Looks like you've blocked notifications!

‘আমাদের দেশে এমন শিল্পীও আছেন, যাঁরা সকাল ১০টায় কল টাইম থাকলেও সেটে আসেন তিন দিন পর। এই তিন দিন যে তিনি আসবেন না, সেটিও কাউকে জানানোরও প্রয়োজন মনে করেন না। নভেম্বরের শুরু থেকে এসব বন্ধ। নিয়ম মেনেই কাজ করতে হবে শিল্পী ও কলাকুশলীদের।’

‘চলচ্চিত্র নির্মাণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি’র সংবাদ সম্মেলনে ওই কথা বলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘নিয়ম না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আজ সোমবার দুপুর ১টায় বিএফডিসির ভিআইপি প্রজেকশন হলে কমিটির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, সামসুল আলম, কামাল মো. কিবরিয়া লিপু, পরিচালক মুশফিকুর রহমান, বদিউল আলম খোকন, শাহিন সুমন, অপূর্ব রানা, সহকারী পরিচালক এস আই ফারুক, কাজী মনিরসহ চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের অনেকে।

প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্রের আজ যে খারাপ অবস্থা, তার অন্যতম কারণ হচ্ছে—সাত বছর ধরে আমাদের সমিতির কোনো কার্যক্রম ছিল না। তবে কিছুদিন আগে আমরা সমিতির নির্বাচন করেছি। নির্বাচিতরা এখন সব সমস্যার সমাধান করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন।’

কমিটির আহ্বায়ক কামাল মো. কিবরিয়া লিপু বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে চলচ্চিত্রের শুটিং হবে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। মাঝখানে এক ঘণ্টা নামাজ ও খাবারের বিরতি। কোনো শিল্পী যদি সময়মতো শুটিংয়ে না আসেন, তবে তাঁকে সেদিনকার শুটিংয়ের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সকাল ৮টায় শুটিংয়ে উপস্থিত থাকতে হবে শিল্পী ও কলাকুশলীদের।’

লিপু আরো বলেন, ‘এককালীন টাকা নিতে পারবেন না শিল্পীরা। প্রথমে সাইনিং ২৫ শতাংশ। তার পর কাজের অগ্রগতি অনুযায়ী বাকি টাকা পাবেন। পোশাকের জন্য কোনো টাকা পাবেন না শিল্পী। গল্পের চরিত্র অনুযায়ী পোশাক তৈরি করবেন প্রযোজক। শিল্পীর পছন্দ হলে কাজের পর টাকার বিনিময়ে তিনি তা নিয়ে নিতে পারেন।’

খোরশেদ আলম খসরু আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সভাপতি আমি, আমার কাজ হচ্ছে প্রযোজক-পরিবেশকদের স্বার্থ রক্ষা করা। চলচ্চিত্র নির্মাণ বা প্রদর্শন পুরো কাজটিই আসলে প্রযোজকের টাকা দিয়ে করা হয়। কেউ এক ঘণ্টা দেরি করে শুটিংয়ে আসলে বা ছবিটি মুক্তি পাওয়ার সময় হল থেকে টাকা না পেলে সমস্যা আমাদের। এমনও শুনেছি, কলকাতায় শুটিংয়ের সময় আমাদের দেশের এক নায়ক এক ঘণ্টা দেরি করে গিয়েছিলেন। পরিচালক সেদিন তাঁকে নিয়ে শুটিং করেননি। এরপর দিন নায়ক নাকি ছয়টা থেকে সেটে গিয়েছিলেন। এটা সম্ভব হয়েছে নীতিমালার কারণে।’

খসরু আরো বলেন, চলচ্চিত্রের প্রয়োজনে তাঁরা সুন্দর নীতিমালা তৈরি করবেন ও তার সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করবেন।

পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘বাংলাদেশের শিল্পীদের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক হতে পারে ১০ লাখ টাকা।’