আর হিন্দি ছবি না চলার আশ্বাস দিলেন তথ্যমন্ত্রী

আমদানি করা চারটি হিন্দি ছবির মধ্যে একটি প্রদর্শিত হলেও বাকি তিনটি সিনেমা হলে চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না বলে চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের নেতাদের আশ্বাস দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আজ সোমবার দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার জানান, ‘তথ্যমন্ত্রী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী দুজনই আমাদের সাথে একমত হয়েছেন এবং আমাদের কথা দিয়েছেন বাকি যে তিনটি ছবি থ্রি ইডিয়টস, তারে জমিন পার ও ডন টু রয়েছে। এগুলো চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।’
গুলজার আরো জানান, ‘শিক্ষামূলক ছবি তাও যদি বাংলা ভাষার হয় তবে তথ্য মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমাদের সিনেমা হলে চালানোর অনুমতি দেবে।’ তবে গুলজার এনটিভিকে বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের বৈঠকের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন বলে জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের নেতাদের মধ্যে ছিলেন শিল্পী সমিতির সভাপতি শাকিব খান, সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর, পরিচালক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, সহসভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজারসহ ঐক্যজোটের অন্য নেতারা।
এর আগে গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে শাকিব খান, মিশা সওদাগর অভিনীত এবং মুশফিকুর রহমান গুলজার, সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কোনো ছবি প্রদর্শন না করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি। এ বিষয়ে প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি সোহানুর রহমান সোহান, মুশফিকুর রহমান গুলজার, শাকিব খান ও মিশা সওদাগরের ছবি চালাব না বলে ঘোষণা দিয়েছি।’ হিন্দি ছবি প্রদর্শনীর প্রতিবাদ করায় চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের নেতাদের ছবি না দেখানোর এই সিদ্ধান্ত নেয় প্রদর্শক সমিতি। তাদের দাবি সিনেমা হল বাঁচলেই চলচ্চিত্র বাঁচবে।
গত ২৩ জানুয়ারি সারা দেশের ৬০টি প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি চলচ্চিত্র ওয়ান্টেড মুক্তি দেওয়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের ব্যানারে আন্দোলন শুরু করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১১টি সংগঠন। হিন্দি ছবির প্রদর্শনী বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন গত ২০ জানুয়ারি।