যা করেছি, নিজেই করেছি : সোনম কাপুর
বলিউডের তারকাদের সন্তানরা চাইলেই ছবির জগতে জায়গা করে নিতে পারেন। তাঁদের জন্য স্রেফ ইচ্ছাটুকুই নাকি যথেষ্ট, বাকিটা মিলিয়ে দেওয়ার জন্য মা, বাবা বা পরিবারের গুরুজনরাই যথেষ্ট। তবে পরিবারকে ব্যবহার করে সুবিধা আদায় কিন্তু সবাই করেন না। আর করলেও সেটার কমবেশি মাত্রা থাকে। অনিল কাপুরতনয়া সোনম কাপুর এমন কথাই আকারে ইঙ্গিতে বলেছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বাবার জনপ্রিয়তা ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সোনম।
সোনম বলেন, “যখন আমি এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এলাম, তখন থেকেই এ বিষয়ে সতর্ক থেকেছি। কারণ অনেকেরই মানসিকতা ছিল নীচু। তাদের কথা ছিল এ রকম- ‘ও হলো অনিলের মেয়ে, কাজেই ও সবই সহজে পেয়ে যাবে।’ আমি কোনো কিছুর জন্যই আমার বাবার নাম ভাঙাতে যাব না- ওদের কথার জবাব আমি এভাবেই দিয়েছি তখন।” এভাবেই অভিনয়ে আসার পর প্রথম দিককার কথা জানান সোনম। এর সাথে নিজের কাজের ব্যাপারে তিনি সোজাসাপ্টা বলেন, ‘আমি যা করেছি, নিজেই করেছি।’
কীভাবে বলিউডের মতো তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভরা জায়গায় নিজের স্থান করেছেন, তা নিয়ে অকপটে বলেন সোনম, ‘আমি নিজ থেকেই পরিচালকদের সাথে যোগাযোগ করেছি। কখনোই সাহায্যের জন্য বাবাকে ডাকিনি। আমার বাবা আমাকে বলেছেন, ‘আমার সন্তানদের জীবনটা যেন উন্নত হয়, সেজন্য আমি ৫০ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছি। কাজেই তুমি কেন সেটাকে ব্যবহার করছো না? আমি এটা তোমাদের জন্যই করেছি। সুতরাং, একে ব্যবহার করো।’ কিন্তু আমি সবসময়েই ভেবেছি ‘আমি নিজেই এটা করতে পারব।”
তবুও পিতৃপরিচয়ের বিড়ম্বনা থেকে নিস্তার নেই সোনমের। এটা ভালো করেই জানেন এই নায়িকা। তিনি ক্ষোভ নিয়ে বলেন, ‘এখনো অনেকে বলেন আমি আমার বাবার জোরেই এতদূর আসতে পেরেছি।’
২০০৭ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘সাওয়ারিয়া’ ছবি দিয়ে বড়পর্দায় আসেন সোনম। তারও আগে, একই পরিচালকের বহুল আলোচিত ছবি ‘ব্ল্যাক’-এ সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
অনিল কাপুরের ছেলে, সোনমের ভাই হর্ষবর্ধনেরও অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে বড়পর্দায়। রাকেশ ওম প্রকাশ মেহরার নতুন এই ছবির নাম ‘মিরজিয়া’।