সেলিম আল দীন স্মরণোৎসবে তারাশঙ্করের ‘কবি’
‘সাধারণ এক গ্রামে ডাকাত বংশে জন্মগ্রহণ করে নীচু বংশের নিতাই। কিন্তু তার স্বভাব তার বাবা-কাকাদের মতো নয়। সে সৎ থাকতে চায়, তাই ঘরবাড়ি ছেড়ে স্টেশনে গিয়ে থাকে। সেখানেই রাজার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। সে কবিয়াল ধরনের মানুষ, বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কবিগান করে। এদিকে, রাজারই এক আত্মীয়কে ঠাকুরঝি বলে ডাকত সে।
ঠাকুরঝি রোজ দুধ বিক্রি করতে আসে নিতাইয়ের কাছে। একপর্যায়ে তার ঠাকুরঝিকে ভালো লেগে যায়, ঠাকুরঝিও নিতাইকে ভালোবেসে ফেলে। বিষয়টা জানাজানি হলে নিতাই গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। সে ঝুমুর দলের সঙ্গে যুক্ত হয়, সেখানে তার সঙ্গে পরিচয় হয় বসনের। বসনের মধ্যে সে ঠাকুরঝির ছায়া দেখতে পায়। দুজনের মাঝে সখ্য গড়ে ওঠে। রোগাক্রান্ত হয়ে একসময়ে বসনও মারা যায়। একসময় নিজের আগের গ্রামে ফিরে আসে নিতাই। এসে জানতে পারে, ঠাকুরঝি আর বেঁচে নেই।’
এমনই এক জীবনযাত্রার ব্যতিক্রমধর্মী প্রেমের গল্প নিয়ে ‘কবি’ উপন্যাসটি রচনা করেছিলেন অমর কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন স্মরণোৎসব উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়িত হয় ‘কবি’।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের পরিবেশনায় ‘কবি’কে নাট্যরূপ দিয়েছেন ইউসুফ হাসান অর্ক।
নৃতাত্ত্বিকভাবে বাংলা জনপদের মধ্যে যে ভাবময়তার উচ্ছ্বাস অনুভূত হয়, তাকে সমকালীন বাংলার মানুষের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার তাগিদ থেকেই এ নাট্য নির্বাচন করেছেন নির্দেশক।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন সানী ঘোষ, জেরিন তাসনিম, যারিন তাসনিম অদিতি, হালিম সেখ, প্রসেনজিৎ কুমার সঞ্জয়, রুবাই জাবিন প্রিয়তা, সজল, আবু রায়হান, এস এম ইত্তেশামুল হুদা মিমো, আরিফুজ্জামান রাজু, নিশি নাথ দাশ মৃদুল, শ্যামা ভট্টচার্য, আফরিনা আজগর দোলা, মাঈশা ফারজানা স্বর্ণা, প্রিয়াংকা মণ্ডল, স্বাতী সাহা, মো. তারেক হোসেন, মো. আজগর হোসেন রাব্বি, শাহীনূর আক্তার প্রীতি, মৌশ্রী দাস নিশু, মো. আশিকুজ্জামান, সাজিদ উচ্ছ্বাস, নির্ঝর অধিকারী ও মনামী ইসলাম কনক।