আলিয়ার ফিল্মফেয়ার আনন্দ!

ফিল্মি পরিবারেরই সন্তান তিনি। ছোটবেলা থেকে বাপ-দাদা, ভাইবোন সবাইকে দেখছেন বড়পর্দায়। কাজেই তাঁর বাড়িতে তো গণ্ডায় গণ্ডায় পুরস্কার থাকবেই! কিন্তু নিজের তো একটাও ছিল না। আর বিশেষ করে পুরস্কারটা যখন ‘ফিল্মফেয়ার’, তখন ‘ব্যক্তিগত’ একটা ক্রেস্টের স্বপ্ন তাঁর থাকতেই পারে। সেই স্বপ্ন এখন পূরণ হয়ে গেছে মহেশ ভাট তনয়া আলিয়া ভাটের।
‘হাইওয়ে’ ছবি দিয়ে সমালোচকদের বিবেচনায় সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নিয়েছেন আলিয়া। এই প্রাপ্তিতে আলিয়া যে ভীষণ আপ্লুত, তাই দেখা গেল বলিউড লাইফের খবরে। হতেই হবে। জীবনের প্রথম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড বলে কথা!
আলিয়া পুরস্কার জিতে আহ্লাদে আটখানা হয়ে দারুণ এক টুইট করেছেন সাথে সাথেই। ফিল্মফেয়ারের কালোরঙা ট্রফিকে চুমু খেয়ে ছবি আপলোড করেছেন টুইটে। টুইটে সেটার ক্যাপশন- ‘আমার একান্ত সুন্দরী ভারি কৃষ্ণ নারী।’
একই ছবি ইনস্টাগ্রামেও আপলোড করেছেন আলিয়া। সেখানে লিখেছেন- ‘..এবং সে আমার, যাকে নিয়ে আমি সারাটা জীবন ধরে স্বপ্ন দেখেছি। তোমায় ধন্যবাদ ফিল্মফেয়ার। ভালোবাসা প্রকাশের শব্দ নেই। খুবই আবেগাপ্লুত আমি।’
এই প্রাপ্তির পর টুইটারে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি ভাট ক্যাম্পের এই কনিষ্ঠ বলিউড স্টার! হাইওয়ের পরিচালক ইমতিয়াজ আর গুরুস্থানীয় পরামর্শদাতা করণ জোহরকে ধন্যবাদ জানান আলিয়া, ‘ধন্যবাদ ইমতিয়াজ, ধন্যবাদ করণ জোহর, তোমাদের সবাইকে ধন্যবাদ...অনেক অনেক ভালোবাসা..অনেক অনেক আবেগী..!’
২০১২ সালে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবি দিয়ে বলিউডে পদার্পণ ঘটেছিল আলিয়া ভাটের। তাঁর অভিনীত ‘হাইওয়ে’ ছবিটি দেশের বাইরেও পেয়েছে সম্মাননা। ইমতিয়াজ আলী পরিচালিত ছবিটি ২০১৪ সালের বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্যানোরমা বিভাগে প্রদর্শিত হয়। এ ছবিতে আলিয়ার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন রন্দীপ হুডা।