মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নতুন নাটক ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’

Looks like you've blocked notifications!

আগামীকাল বুধবার মহিলা সমিতির মঞ্চে ‘ভাঙা গড়া নাট্যোৎসবে’ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মঞ্চস্থ হবে নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বলের ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ নাটকটি। নির্দেশনা দিয়েছেন আতাউর রহমান। নতুন নাটক নিয়ে আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত। এখানে একটি মহত্ত্ব নিহিত রয়েছে। নাটকে সেই মহত্ত্বকেই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি আমরা।’

‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ সৈয়দ শামসুল হকের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা। নাটকটি এরই মধ্যে উদ্বোধনী মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হলো গত ১৮ তারিখ শিল্পকলার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল সৈকত, আবদুল্লাহ আল মামুন, জুয়েইরিযাহ মউ, সাইদুর রাহমান, শেফালী পারভীন, আবদুল আজিজ প্রমুখ।  ‘সে একসময় ছিল, একদিকে গণহত্যা, অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধ। দখলদার পাকিস্তান সেনাবাহিনী নির্বিচারে হত্যা করতে থাকে দেশের মানুষকে। গ্রেপ্তার করতে থাকে কতজনকেই। এমনি গ্রেপ্তারকৃত একজনকে নিয়ে এ নাটক।

একদিকে পাকিস্তান বাহিনীর অবজ্ঞা আমাদের দেশ সম্পর্কে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের ভেতর থেকে অসাধারণ মানুষের জাগরণ, এ নিয়েই এ নাটক। ‘বস্তুত আমাদের ভেতর থেকে প্রবল চাপের মুখে আমাদেরই জাগরণ, এই নাটকটি মূলত মানুষের ইতিহাসের নাটক।’ কথাগুলো বলছিলেন সৈয়দ শামসুল হক।

একজন সাধারণ মানুষ। ভুল বোঝাবুঝির ফাঁদে পড়ে বন্দি হয়। তারপর পাকিস্তানি সৈন্যদের কবলে, সৈন্যদের ক্যাম্পে। একটা কবিতা আর তাকে ঘিরে চলতে থাকে দ্বন্দ্ব, স্বীকারোক্তির চাপ। কবি কাজী নজরুল ইসলামকে খুঁজে ফেরে সৈন্যরা সে মানুষটির মাঝে। এভাবেই এগিয়ে চলে নাটকটি। ছাপোষা নজরুল আর কবি নজরুল পৃথক থাকতে থাকতে কোথাও এক বিন্দুতে যেন মিলিত হয়ে যেতে থাকে ক্রমশ। ছাপোষা নজরুল অসহনীয় অত্যাচারের মুখে, অপমানিত হতে হতে এগিয়ে যেতে থাকে মুক্তির পথে। বিদ্রোহের দিকে। কবি কাজী নজরুল ইসলামের অস্তিত্বের দিকে আকর্ষিত হতে থাকে তার সমস্ত সত্তা। ঘোরে-বেঘোরে, চেতনে-অবচেতনে উঠে আসে দেশ, ব্যক্তিগত অনুভূতি, প্রেম আর যুদ্ধ। একটি ক্ষুদ্র ঘটনা, মাত্র একজন মানুষকে ঘিরে উঠে আসে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়। মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা, অনিশ্চয়তা। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মানুষের গল্পও উঠে আসে কাহিনীতে।