সিনেমাকে পুরুষ বা নারীকেন্দ্রিক বলা উচিত নয় : আনুশকা

Looks like you've blocked notifications!
আনুশকার কথা—সিনেমার পরিচয় হওয়া উচিত গল্প দিয়ে। ছবি : এএফপি

র‍্যাম্প মডেলিং ক্যারিয়ার থেকে ২০০৮ সালে ‘রব নে বানা দি জোড়ি’। প্রথম ছবিতেই দৃঢ়চিত্তের এক নারীর ভূমিকায় অভিনয় করে বলিউডে নাম লিখিয়েছিলেন আনুশকা শর্মা। এর পর একে একে ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’, ‘লেডিস ভার্সেস রিকি ভ্যাল’, ‘যব তক হ্যায় জান’, ‘পিকে’, ‘এনএইচ১০’—সব ছবিতেই আনুশকা এসেছেন শক্ত-সমর্থ চরিত্রে। বলিউডে নারীকেন্দ্রিক ছবি প্রশংসিত হয়, আনুশকা নিজেও প্রশংসিত হয়েছেন—তবে কোনো সিনেমার এমন পরিচয় তিনি নাকি নিজেই পছন্দ করেন না!

আনুশকার কথা হলো, সিনেমার পরিচয় এর গল্পে। গল্প ভালো না মন্দ, ছবিটি কীভাবে নির্মিত হয়েছে বা হচ্ছে; সেগুলো দিয়ে একটি ছবিকে পরিচয় দেওয়া উচিত। এর বদলে লৈঙ্গিক পরিচয়ের মাধ্যমে কোনো ছবিকে পরিচিত করাটা একেবারেই যৌক্তিক নয় বলে মনে করেন তিনি।

“আমি মনে করি না যে কোনো ছবি ‘পুরুষকেন্দ্রিক’ বা ‘নারীকেন্দ্রিক’ হিসেবে পরিচিত পাক; বরং এর পরিচিতি হওয়া উচিত এর কাহিনী দিয়ে। সেটাই ভালো হবে আর যৌক্তিক দেখাবে। আমি মনে করি, অন্য কেউ বানালেও ‘এনএইচ১০’ ভালো হতো, আর এটা মোটেও কোনো ‘নারীকেন্দ্রিক’ বা ‘পুরুষকেন্দ্রিক’ ছবি নয়। দর্শকের কাছে যাওয়ার জন্য গল্পটাই আসল বিষয়”, বার্তা সংস্থা আইএএনএসের সঙ্গে আলাপের সময় এভাবেই বলেছেন আনুশকা।

অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি নির্মাণেও অভিষেক হয়েছে আনুশকার। ‘এনএইচ১০’-এর মাধ্যমে ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি অকুণ্ঠ প্রশংসা পেয়েছেন দর্শক-সমালোচকের। নিজের কাজ বাছাই নিয়ে বললেন, ‘আমি সব সময়ই সেসব গল্পে কাজ করি, যা আমি বিশ্বাস করি; সেসব চরিত্রে অভিনয় করি, যেগুলো আমার কাছে কৌতূহলোদ্দীপক। আর সেসব পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করি, যাঁদের সঙ্গে আমি কাজ করতে চাই। অভিনয় করি আর প্রযোজনা করি, এ বিষয়গুলো পছন্দের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রাখে।’

এবারের ঈদে মুক্তি পাবে সালমান খানের সঙ্গে আনুশকার ছবি ‘সুলতান’। এ ছাড়া রণবীর কাপুর ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে তাঁকে দেখা যাবে ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিতে। তবে এগুলো নিয়ে এখনই কথা বলতে নারাজ আনুশকা!

‘এই ছবিগুলো নিয়ে অবশ্যই কথা বলব, কিন্তু এখন নয়! এ বছর ঈদ আর দিওয়ালি আমার জন্য দারুণ হতে যাচ্ছে’, বলেন আনুশকা।