একেই বলে শুটিং
জঙ্গল বুকের শুটিং জঙ্গলে হয়নি
এ বছরের সাড়া-জাগানো ছবি ‘দ্য জঙ্গল বুক’। অ্যানিমেটেড এই ছবি পরিচালনা করেছেন জন ফাভরু। তবে এটি পুরোপুরি অ্যানিমেটেড নয়, কারণ, এর মূল চরিত্রে অভিনয় করেছে একজন অভিনেতা। ১৪ বছর বয়সী এই অভিনেতার নাম নীল সেথি।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নীলকে খুঁজে নেওয়া হয়েছিল হাজার হাজার কিশোরের মধ্য থেকে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড ও কানাডা থেকে হাজারখানেক শিশু এই চরিত্রটির জন্য অডিশন দিয়েছিল।
রুডইয়ার্ড কিপলিংয়ের লেখা এই গল্প নিয়ে আগেও কার্টুন ছবি ও চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। ১৯৬৭ সালে ওয়াল্ট ডিজনি থেকে একই নামের একটি অ্যানিমেটেড ছবি বানানো হয়েছিল। এবারের ছবিটিও প্রযোজনা করেছে ওয়াল্ট ডিজনি।
তবে এবার আরো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ভিএফএক্স ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষ এবং অ্যানিমিটেড চরিত্র দুটোর সমন্বয়েই তৈরি হয়েছে এই ছবি।
মোগলি এক অনাথ শিশু, যে জঙ্গলে পশুদের সঙ্গে বেড়ে ওঠে। জঙ্গলের পশু ও মানুষের মধ্যে ভালোবাসার এক অনবদ্য আখ্যান রুডইয়ার্ড কিপলিংয়ের এই সৃষ্টি।
‘দ্য জঙ্গল বুক’ ছবিতে অভিনয় না করলেও অ্যানিমেটেড চরিত্রগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন নামকরা সব তারকা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিল মুরে, বেন কিংসলে, ইদরিস এলবা, লুপিতা নইগো, স্কারলেট জোহানসন, গিয়ানকার্লো এপোসিতো ও ক্রিস্টোফার ওয়াকেন।
তবে মজার বিষয় হচ্ছে, এই জঙ্গল বুকের শুটিং কিন্তু কোনো জঙ্গলে হয়নি, হয়েছে স্টুডিওতে। ২০১৩ সালের ৯ জুলাই ওয়াল্ট ডিজনি ‘দ্য জঙ্গল বুক’ ছবিটি নির্মাণের ঘোষণা দেয়।২০১৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস সেন্টার স্টুডিওতে এই ছবির শুটিং শুরু হয়।
অ্যানিমেটেড ক্যারেক্টারগুলো তৈরি করা হয় কম্পিউটার গ্রাফিকসের মাধ্যমে। যৌথভাবে ছবিটির ভিজ্যুয়াল এফেক্টসের কাজ করে মুভিং পিকচার কোম্পানি ও ওয়েটা ডিজিটাল।
এই ছবির গ্রাফিকসের কাজ করার জন্য নতুন একটি সফটওয়্যার তৈরি করে মুভিং পিকচার কোম্পানি। ছবিটির দৃশ্য সাজানোর জন্য ভারতের দুর্গম জঙ্গলগুলোর প্রায় এক হাজার স্টিল ছবি তোলা হয়, আর সেগুলো অবলম্বনেই ছবির অ্যানিমেশনের কাজ করা হয়।
উত্তর আমেরিকায় থ্রিডি, আইম্যাক্স থ্রিডি ফরম্যাটে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়। ছবিটি এখন পর্যন্ত আয় করেছে ৮২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সে হিসেবে এই বছরে সর্বোচ্চ আয় করা ছবির তালিকায় এটি রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
দেখে নিন ছবিটির শুটিংয়ের কিছু দৃশ্য :