মঞ্চনাটক
তিন বিপ্লবীকে নিয়ে ‘বিবাদী সারগাম’
ঢাকার মঞ্চের পরিচিত নাটকের দল প্রাঙ্গণে মোর। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে দলটি মঞ্চে নিয়ে আসছে আরো একটি নতুন নাটক। গেল ফেব্রুয়ারিতে ‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’, এপ্রিলে ‘কনডেমড সেল’ নামে নাটক দুটি দর্শকপ্রিয় হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই তারা নতুন করে মঞ্চে নিয়ে আসছে নাটক ‘বিবাদী সারগাম’।
শিশির রহমানের রচনা ও নির্দেশনায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের আলোয় বাংলার তিন বীরসেনানী বিনয়, বাদল, দীনেশের কলকাতা রাইটার্স বিল্ডিং আক্রমণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচনা করা হয়েছে এ নাটকের কাহিনী। আগামী ২৪ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে মঞ্চায়িত হবে বিবাদী সারগামের উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
বিনয়, বাদল, দীনেশের কথা আজও ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। তবে নতুন প্রজন্মের অনেকেই এই তিন অকুতোভয় বীরের নাম জানেন না। নবীন-প্রবীণ সবার জন্যই এই বিপ্লবীদের জীবনী নতুন করে উপস্থাপন করা হবে এই নাটকে। ঘটনার বিন্যাসের প্রয়োজনে বিনয়, বাদল ও দীনেশকে তুলে ধরতে গিয়ে সমসাময়িক ঘটনাগুলো বিন্যস্ত করা হয়েছে এ নাটকে। বিনয়, বাদল, দীনেশের মধ্যে বিনয় ও বাদল আত্মহত্যা করেছিল আর দীনেশকে উঠতে হয়েছিল ফাঁসির মঞ্চে। দেশ, মাটি, মানুষ ও মায়ের ভাষাকে ভালোবেসে যারা এভাবে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন, সেই সব অকুতোভয় বীরসেনানীকে নিয়েই নাটক ‘বিবাদী সারগাম’।
মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য যেসব বিপ্লবী প্রাণ বলিদান করেছেন, গুটি কয়েকজনকে বাদ দিলে আর সবাইকে ভুলে গিয়েছে বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা। এমনকি বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনেকেই জানেন না বিপ্লবীদের মধ্যে কাদের উঠতে হয়েছিল ফাঁসির মঞ্চে? আর কারাই বা কারাগারে আত্মবিসর্জন দিয়েছিলেন অথবা ইংরেজ সরকারের অত্যাচারে বিনা বিচারে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয়েছিল কতজনকে। তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে প্রাঙ্গণে মোরের ১১তম এ প্রযোজনা।
বিবাদী সারগামে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছে রামিজ রাজু, মাইনুল তাওহীদ, রিগান রত্ন সোহাগ, বন্ধু তুহিন, শুভেচ্ছা রহমান, সবুক্তগীন শুভ, লিটু রায়, আহমেদ সুজন, চৈতালী চৈতী, নিরঞ্জন নীরু, সুজন গুপ্ত, মাহমুদুল হাসান, সোহাগ রহমান, নূপুর, মিঠুন, উর্মিলা, মৌসুমী মৌ প্রমুখ।