অনুপ্রেরণার গান

ট্যামবুরিন ম্যান থেকে গানওয়ালা

Looks like you've blocked notifications!
বব কিংবা সুমন, সুর-স্বর হোক না আলাদা, কথাগুলো একটাই যেন! ছবি : সংগৃহীত

কলকাতা। প্রাচীন শহর। নাগরিক জীবনযাপনের নিরিখে কলকাতা তো কেবল উপলক্ষ, পৃথিবীর অজস্র দেশে নগরজীবনের প্রতিটি দিন কেবল এসব অবক্ষয়ের মধ্য দিয়েই বেঁচে থাকে। প্রতিনিয়ত মানুষের স্বপ্নগুলো সেখানে হারিয়ে যায়, হারিয়ে যায় সুন্দর মুহূর্ত আর প্রত্যাশা। সুমনের গানে সেই হতাশাই ফুটে উঠেছে সেইসব সময়ে, ‘এই ফাটকাবাজির দেশে স্বপ্নের পাখিগুলো বেঁচে নেই’!

কবীর সুমন তখন সুমন চট্টোপাধ্যায়। গান লিখছেন, গাইছেন, সুর দিচ্ছেন দেদার। অবলীলায় নিজের মতো কাজ করে চলেছেন; গান যেন গাইছেন না, গানই তাঁকে গেয়ে যাচ্ছে। পাশ্চাত্য সংগীতের সহজাত প্রভাব বা অনুসরণ সাবলীলভাবে এসেছে তাঁর গানে; কিন্তু তাতে বারবারই জীবনমুখিতা ফুটে উঠেছে বাংলার চলমান, দগদগে আবহে। ‘ও গানওয়ালা, আরেকটা গান গাও, আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই, কিচ্ছু করার নেই’—কতই না সহজ করে বলা, গাওয়া।

এমন সহজ করেই বব ডিলান গেয়েছিলেন, ‘হেই মিস্টার ট্যামবুরিন ম্যান, প্লে আ সং ফর মি, আয়্যাম নট স্লিপি অ্যান্ড দেয়ার ইজ নো প্লেস আয়্যাম গোয়িং টু’! এই গান লেখা হয়েছিল ১৯৬৪ সালে। বলে রাখা ভালো, ট্যামবুরিন হলো পারকাশন ঘরানার এক ধরনের বাদ্যযন্ত্র। ‘রিক’ বা ‘বুবেন’ নামেও এটি পরিচিত। প্রাচীন গ্রিক, রোমান, মেসোপটেমিয়ান যুগে এর উৎপত্তির হদিস মিললেও কালে-অকালে, নীল নদের ঢেউ পেরিয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন রূপে ছড়িয়ে পড়েছে এই বাদ্যযন্ত্র। সহজিয়া গায়ক বব ডিলানের গানে ট্যামবুরিন চলে এসেছে অনায়াসেই। সুরের যে কোনো সীমানা থাকে না, এ কথা তো মানতেই হবে।

বব ডিলানের গানটির মতো সুমনের গানটিও অসম্ভব জনপ্রিয়। দুটি গানেই একটি দৃষ্টিভঙ্গি চোখে পড়ে, যাপিত জীবনে জেরবার হয়ে ফেলে আসা কৈশোরকে ফিরে চাওয়ার আকুতি। হতাশার সঙ্গে সঙ্গে বারবার বলতে চাওয়া, জীবনটা একসময় সুন্দর ছিল, স্বপ্নের আবরণে মোড়ানো ছিল, যেখানে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির ব্যবধান এত নির্মম ছিল না।

ব্যস্ততার মাঝে সময় করে অথবা কোনো এক অসময়ে শুনে নিতে পারেন সোনালি সময়ের গল্প বলা এই গান দুটি—

বব ডিলানের গান

সুমনের গান