মঞ্চে আসছে ঋত্বিক ঘটকের ‘জ্বালা’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে মঞ্চস্থ হবে দৃষ্টিপাত নাট্যদলের নুতন প্রযোজনা ‘জ্বালা’। নাটকটি রচনা করেছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটক। নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন রাথরেন সম্প্রীতি নাট্য পরিষদের সদস্য সচিব কামাল বায়েজীদ ও নাট্যতীর্থর দলীয় প্রধান তপন হাফিজ।
ঋত্বিক ঘটকের ‘জ্বালা’ নাটকের কাহিনী গড়ে উঠেছে সমাজের কঠিন বাস্তবতাকে নিয়ে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অভাব- অনটন মানুষের জীবনকে করে তোলে বিষাদময়। দারিদ্র্যের কষাঘাতে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মানুষ হয়ে পড়ে যুক্তিহীন। ফলে যেকোনো সিদ্ধান্তে সে পৌঁছাতে পারে যেকোনো মুহূর্তে। কিন্তু প্রশ্ন হলো মানুষের জীবনে এই সংকটের সৃষ্টি হয় কেন? তারই উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, মানবগোষ্ঠী দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত। এক হলো শোষক, আর হলো শোষিত। এই শোষিত মানুষই বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করছে নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে। জ্বালা নাটকটি রচিত হয় ১৯৫০ সালে। এর একটি বিষাদময় পটভূমি আছে।
নাটকটি রচনার কিছুদিন আগে কলকাতা শহরে এক মাসের মধ্যে বহু মানুষ আত্মহত্যা করেছিল। তাদের মধ্য থেকে কয়েকটি চরিত্র গ্রহণ করে এই নাটকে সন্নিবিষ্ট করা হয়। একমাত্র পাগলের চরিত্র ছাড়া আর সবকটি চরিত্রই জীবন থেকে গ্রহণ করা। সেদিক থেকে নাটকটিকে Documentary বলা যেতে পারে। এ নাটকের চরিত্ররা জীবন যুদ্ধে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত হয়ে একদিন আত্মহননের পথ বেছে নেয়। তাদের উপলব্ধি ছিল আত্মহত্যার মধ্যদিয়ে মুক্তির উপায় খুঁজে পাবে। বাস্তবে কি সেটা সম্ভব হলো ? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এই নাটকে। মানুষের মুক্তি আসে কোন পথে?
‘জ্বালা’ নাটকের মঞ্চ পরিকল্পনা ও নিদের্শনা দিয়েছেন অভিজিৎ সেনগুপ্ত । সুর ও আবহ- পরিমল মজুমদার, পোশাক- ড. আইরীন পারভীন লোপা, আলো- হেনরি সেন, কোরিওগ্রাফি- সামিউন জাহান দোলা, রূপসজ্জা- শুভাশীষ দত্ত তন্ময়। এই নাটকে অভিনয় করেছেন- সুমী ইসলাম, মারুফ ইসলাম, আব্দুল হালিম আজিজ, রাকিব হোসেন ইভন, অভিজিৎ সেনগুপ্ত ও সুনীল কুমার দে ।