ক্যালেন্ডারে পড়শি

Looks like you've blocked notifications!
ক্যালেন্ডার-কন্যা পড়শি

পড়শি সংগীতশিল্পী। গানের সুরে পড়শি সবার হৃদয় জয় করলেও নাচতেও পারদর্শী তিনি। অঞ্জলি নৃত্যকলা নিকেতন থেকে ২০০৬ সালে পড়শির নাচের ছবি দিয়ে একটি ক্যালেন্ডার করা হয়। কেন এই ক্যালেন্ডার? জিজ্ঞাসা করতেই পড়শি বলেন, ‘আমাদের নাচের স্কুলে একটি প্রতিযোগিতা হয়েছিল। সেখানে অন্য নাচের স্কুলের শিক্ষকরা বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রতিযোগিতায় যে প্রথম হবে, তাকে নিয়ে একটি ক্যালেন্ডার করার কথা ছিল। সৌভাগ্যবশত আমি সবগুলো নাচে প্রথম হয়েছিলাম এবং গোল্ড মেডেলও জিতেছিলাম।’

পড়শি আরো বলেন, ‘ক্যালেন্ডারটি দেখার পর সত্যিই আমি অবাক হয়েছিলাম। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি, আমার দেয়ালে সেই ক্যালেন্ডার টাঙানো। আমি প্রথমে ক্যালেন্ডারটি দেখে থ হয়ে গিয়েছিলাম। তার পর বিছানার ওপর উঠে আনন্দে লাফালাফি করি। আমার এখনও মনে আছে, লাফালাফি করায় বিছানা একপাশ কাত হয়ে গিয়েছিল। আসলে আমি অনেক বেশি পুলকিত হয়েছিলাম।’ 

কেন নাচ ছেড়েছেন—জিজ্ঞাসা করতেই পড়শির উত্তর, ‘আমার নানু বলেছিলেন, গান-নাচ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। তোমার যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে।’

পরে পড়শি গানটাকেই বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তবে শুরুতে নাচের প্রতি আমার বেশি ঝোঁক ছিল। কত্থক নাচে আমি পারদর্শী ছিলাম। তবে একটি বিষয়, নাচ করার সময় আমি গানেই বেশি মনোযোগ দিতাম। মানে, গানের কথাগুলো আমার হৃদয়ে গেঁথে যেত, আর সেইভাবে আমি নাচ করতাম।’ 

এখনও নাচ করার ইচ্ছা আছে কি না—জানতে চাইলে পড়শি বলেন, ‘আমার নাচের প্রতি এখনও টান আছে। আমি দুটি চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠানে নাচ করেছিলাম।’

পড়শি বলেন, ‘আমার মিউজিক ভিডিওগুলোতে আমি নাচ করার চেষ্টা করি। তবে গানই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’

মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়স থেকে পড়শি নৃত্যের তালিম নেওয়া শুরু করেছিলেন। কত্থক, ধ্রুপদি ও ভরতনাট্যমসহ মোটামুটি সব ধরনের নাচের তালিম নেন তিনি। পড়শির নাচের শিক্ষক ছিলেন রুমি খন্দকার। নাচের স্কুল অঞ্জলি নৃত্যকলা নিকেতনে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত নাচ শিখেছিলেন গুণী এই সংগীতশিল্পী।
 
বর্তমানে পড়শি ‘জয় হবেই হবে’ শিরোনামে বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে একটি গানের মিউজিক ভিডিওতে কাজ করছেন।