সালমান খান
চলচ্চিত্রে পুলিশ চরিত্রে
ভারতীয় আদালতের রায়ে সাজা পাওয়ায় সালমানের খানের সামনে এখন জেলজীবন। একজন অভিনেতা হিসেবে জীবনে অনেক চরিত্রে অভিনয় করেছেন সালমান। তার মধ্যে পুলিশের চরিত্রও কম নয়। আজ ভাগ্যের ফেরে তাঁকে গরাদের ওপারে থাকতে হতেও পারে। কিন্তু পর্দায় সালমান সব সময়ই হিরো, সাহসী পুলিশ অফিসার। তিনি আইন রক্ষা করেন, ভাঙেন না। তাঁর সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে হাততালি দিয়েছে হলভর্তি দর্শক। প্রযোজকের পকেট ভারি করেছেন ‘আইনের লোক’ সালমান খান। অথচ বাস্তবজীবনে সেই সালমানের হাতেই এখন হাতকড়া, আইনের চোখে তিনি দোষী। চলুন এক নজরে দেখে নিই কোন ছবিগুলোতে সালমান খান অভিনয় করেছিলেন আইনের রক্ষক পুলিশের ভূমিকায়।
দাবাং
পুলিশ অফিসার চুলবুল পাণ্ডের ভূমিকায় অভিনয় করেন সালমান খান এই সিরিজে। দাবাং মুক্তি পেয়েছিল ২০১০ সালে। এর সিক্যুয়াল দাবাং ২ মুক্তি পেয়েছিল ২০১২ সালে। সালমানের দাবাং ছবিতে ডেব্যু করেছিলেন সোনাক্ষী সিনহা। সিক্যুয়ালেও ছিলেন সোনাক্ষী। দাবাং ছবির প্রযোজক এবং দাবাং ২ ছবির পরিচালক ও প্রযোজক ছিলেন সালমানের ভাই আরবাজ খান।
ওয়ান্টেড
২০০৯ সালের ছবি ওয়ান্টেড। পরিচালক প্রভু দেবা। পুরো ছবিতেই সালমান ছিলেন গুন্ডাদের সাথে। আসলে তিনি ছবির নায়ক না ভিলেন সেটা বোঝা যায় ছবির শেষার্ধে। ওয়ান ম্যান আর্মি সালমান ছিলেন পুলিশের বিশেষ অফিসার, যে একাই ভিলেনদের নির্বংশ করে দেয়। এই ছবিতে রাধে বা পুলিশ অফিসার রাজবীর শেখাওয়াতের ভূমিকায় অভিনয় করেন সালমান।
গার্ভ
২০০৪ সালের ছবি গার্ভ সুপারহিট ব্যবসা করেছিল। ছবিতে আপাদমস্তক কড়া পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেন সালমান খান। এসিপি অর্জুন রানাওয়াতের ভূমিকায় অভিনয় করা সালমান খানের সাথে সহ অভিনেতা হিসেবে ছিলেন ভাই আরবাজ খান। দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ছবিতে সোচ্চার ছিলেন সালমান খান।
আউজার
১৯৯৭ সালের ছবি আউজার। পরিচালনা করেছিলেন সালমানের ভাই সোহাইল খান। এই ছবিতে সিবিআই অফিসার সুরাজ প্রকাশের ভূমিকায় অভিনয় করেন সালমান। মাফিয়াদের রাজত্ব ধ্বংস করে দিতে নিজের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেন সালমান।
পাত্থার কে ফুল
১৯৯১ সালের ছবি। এই ছবিতে সুরাজ ভার্মার ভূমিকায় অভিনয় করেন সালমান। যার বাবা বিজয় ভার্মা একজন আদর্শবান পুলিশ ইন্সপেক্টর। বাবার মৃত্যুর পর অপরাধীদের একে একে খুন করে সে। মজার ব্যাপার হলো পাত্থার কে ফুল ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সালমানের বাবা সালিম খান।