আমার হৃদয়জুড়ে মা : কোনাল

Looks like you've blocked notifications!

ভীষণ মেঘের সকাল

মাগো, কোথায় তুমি?

তপ্ত রোদের দুপুর

মাগো, কোথায় তুমি?

মেঘের জীবন রোদের ভুবন

খুঁজি আজ তোমার আঁচল, তোমার ছায়া

মাগো কোথায় তুমি?

‘মা’ দিবস উপলক্ষে এই গান লিখেছেন হাসান আহমেদ। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাজেদ ফাতেমি ও জিকে। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন এ সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কোনাল।

এ প্রসঙ্গে কোনাল বলেন, আমি মাকে নিয়ে গান করতে পারি না। এই একটা জায়গায় আমি অনেক ইমোশনাল। কারণ মাকে নিয়ে গান গাইতে গেলে আমার খুব কান্না পায়। এবারই প্রথম মা দিবসের জন্য গান করেছি। গানের কথা আমি নিজে পছন্দ করে নিয়েছি। গানের কথাগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে।

গানের রেকর্ডিং মুহূর্ত কেমন ছিল জিজ্ঞেস করতেই কোনাল বলেন, গানটা গাওয়ার আগে হাসান ভাই তাঁর মায়ের কথা মনে করে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতে শুরু করেন। আমারও ভীষণ কান্না পাচ্ছিল কিন্তু খুব কষ্টে নিজেকে সামলে গানটি গিয়েছি।

ছোটবেলা থেকে ইঞ্জিনিয়ার বাবা ও মায়ের সঙ্গে কোনাল কুয়েতে থাকতেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসেন কোনাল। ফেরার পর মোহাম্মদপুরে নানাবাড়িতে ছিলেন তিনি। বাড়িতে মামা-মামি ও ছোট মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে সময় কাটত তাঁর।

কোনাল বলেন, আমি অনেক আবেগপ্রবণ মেয়ে। ছোট্ট এই জগতে আমি সব সময় গুরুত্ব দিই আমার মা-বাবাকে। আমার জগতে সবকিছুর শীর্ষে আমার মা-বাবা। দেশে যখন আমি একা থাকতাম তখন মা-বাবাকে ভীষণ মিস করতাম। হরতালের সময় অথবা যেকোনো ছুটিতে আমি কুয়েতে চলে যেতাম। কুয়েতে আমিও যেতাম আর মাও দেশে এসে আমাকে দেখে যেতেন। বিষণ্ণ কোনো দুপুরে আমার যখন কিছু ভালো লাগত না তখন মাকে খুব মনে পড়ত। মনে হতো মা পাশে থাকলে এখন আমাকে পছন্দের খাবার রেঁধে দিতেন, খেত দিতেন, কাছে এসে বলতেন একটু গান করো।

মা ও বাবা দিবসে ফেসবুকে অনেক বড় স্ট্যাটাস লিখতাম। মা-বাবা কুয়েত থেকে সেই স্ট্যাটাস পড়তেন। আমি কুয়েতে গেলে উপহার নিয়ে যেতাম। তাঁরা যখন দেশে আসতেন তখনো উপহার দিতাম।’

দেড় বছর হলো কোনালের মা দেশে ফিরেছেন। কোনাল অনেক খুশি। জানালেন, ‘মা দেশে ফেরার পর আমার ওজন বেড়েছে। মা সব সময় এটা ওটা খেতে দেন। মায়ের রান্না করা খাবার খুব পছন্দ আমার।’

কোনাল আরো বলেন, ‘এখন তো আমি রাজা। খুব বাহিরমুখী ছিলাম। বাইরে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘুরতাম, সময় কাটাতাম, অফিস, বিশ্ববিদ্যালয় ও গান রেকর্ডিং বেশি বেশি করে করতাম কিন্তু আম্মা আসার পর আমি ঘরমুখী হয়েছি। বন্ধুরা দেখা করতে চাইলে তাদের এখন আমি বাসায় ডাকি। বন্ধুদের বাসায় এসে মায়ের রান্না খেয়ে যাওয়ার দাওয়াত দেই। আমার ছোট ভাই অর্ক আমার প্রিয় বন্ধু। আমার সময়টা এখন পরিপূর্ণভাবে কাটছে।

বিদায় নেওয়ার আগে আবারও মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন কোনাল। তিনি বলেন, মা আমার সব। আমার হৃদয়জুড়ে আমার মা।