নিজস্বতাই আমার গানের বিশেষত্ব : সোমলতা

Looks like you've blocked notifications!

‘নিজস্বতাই আমার গানের অন্যতম বিশেষত্ব। আমার টোনটা সবার চেয়ে আলাদা। এটাই আমার ক্ষেত্রে একটা বড় প্লাস পয়েন্ট। তা ছাড়া ওয়েস্টার্ন গানও আমি ভালো গাই। সেক্ষেত্রে আমার ভয়েস কোয়ালিটি আমাকে সাহায্য করে’– সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় সম্প্রতি এমনটাই জানালেন দুই বাংলার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সোমলতা, যার পুরো নাম সোমলতা আচার্য চৌধুরী।  

খ্যাতির সিঁড়ি ধরে ক্রমশই উত্তরণের পথে হাঁটছেন সোমলতা। এই জনপ্রিয়তার অনুভূতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে একটু অস্বস্তিই হতো। কেউ আমাকে দেখে চিনতে পারলে বেশ লজ্জা লাগতো। কিন্তু একটা সময় আস্তে আস্তে অস্বস্তিটা কেটে যেতে লাগল। লজ্জা ভাঙতে লাগল। লোকে প্রশংসা করলে খুশিই হতাম। বলা যায় জনপ্রিয়তাটাকে উপভোগ করতে শুরু করলাম।’ 

ব্যক্তিগত জীবনে অধ্যাপনার জগত থেকে এক্কেবারে গানের জগতে। বিপরীতধর্মী দুটি পেশায় অবাধ বিচরণ নিয়ে সোমলতা বলেন, ‘পড়ানো ও গান দুটোই আমার ভালো লাগে। আর সেই কারণেই দুটো পেশাতেই একইসঙ্গে যুক্ত হয়েছি। তবে অধ্যাপনার ক্ষেত্রে একটা সহজাত গাম্ভীর্য রয়েছে। অপরদিকে পারফর্মিং আর্টে আলাদা একটা গ্ল্যামার আছে। সেই গ্ল্যামারটা নিজের চলাফেরায় ফুটিয়ে তুলতে হয়। দুটোকে রপ্ত করেই আজ আমি সাবলীল।’ 

কথায় কথায় ফিরে গেলেন পেছনের দিনগুলোতে, “ছোটবেলা থেকে গান শিখলেও স্বপ্ন দেখার সাহস করিনি। এমনকি প্লেব্যাকের সুযোগ পাওয়ার পরেও স্বপ্ন দেখার কথা ভাবিনি। প্রথম ব্রেক পেলাম  ‘ক্রস কানেকশন’ ছবির জন্য যখন আমাকে ডেকে পাঠানো হলো। তখন তো গোটা একটা গান গাইব ভেবেই কেমন যেন টেনশন হতে শুরু করে দিল। তার আগে ভয়েস ওভারের কাজই করতাম। তার থেকে স্ক্রাচ সং গাইতাম। মানে আমি একটা রাগ গাইব, সেই রেকর্ডিং শুনে আসল গায়িকা গান গাইবেন।”
বর্তমানে বিদেশের মাটিতে সোমলতার জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে চড়ছে। ২০১০ সালে প্রথম বিদেশ যান। তারপর থেকে ধীরে ধীরে উপলব্ধি করতে থাকেন, বিদেশে মানুষ তাঁর গান শোনার জন্য অপেক্ষা করছে। যা এক অদ্ভূত অনুভূতি বলেই মনে করেন সোমলতা। 

আগামী দিনে ‘বং কানেকশন-২’, ‘চলচ্চিত্র সার্কাস’ এবং ‘তিনাংক’-এর মতো ছবি রয়েছে তাঁর হাতে। এ ছাড়া খুব শিগগিরই রবীন্দ্রসঙ্গীতের অ্যালবামও প্রকাশ করতে চলেছেন। 

গান, অধ্যাপনা ও স্টেজ শো সব মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত সোমলতা। তবে সব ব্যস্ততা, কাজের চাপ, সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে ব্যক্তি জীবনে ভীষণ ঘরোয়া সোমলতা। জানিয়ে দিলেন, ‘বাড়িতেই আমি সব থেকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।’