বছরজুড়ে ভাইরাল ডায়ালগ
সময়টা এখন ভাইরালের। সময় উপযোগী কিংবা মনের কথা সবার মনে স্থান নিয়ে ফেলে খুব দ্রুতই। আবার রঙ্গরসের কোনো বক্তব্য হয়ে ওঠে সবার ডায়ালগ। ‘ব্যথা লাগছে’ থেকে শুরু করে ‘কেন্দে দিয়েছিলাম’, কিংবা ‘তখন আমার আবেগ কাজ করেছিল, বিবেকে কাজ করেনি’, ‘মোয়ে মোরে’ ছিল ২০২৩ সালে মুখেমুখে। এমন কিছু ভাইরাল ডায়ালগ ও ‘মিম’ নিয়ে আমাদের এই প্রতিবেদন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব।
তখন আমার আবেগে কাজ করছে, বিবেক কাজ করে নাই
লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডে জড়িত চট্টগ্রামের এক নারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না আমি নির্দোষ দাবি করতেছি না। আমি যখন জানি, আমি নিজেকে কেন নির্দেষ দাবি করব? আমি দুষি। আমি কি আপনাদের একবারও বলছি, আমি নির্দোষ? তখন আমার আবেগে কাজ করছে, বিবেক কাজ করে নাই।’ এরপর ভাইরাল হয়ে যায়, ‘একবারও বলছি, আমি নির্দোষ?’ ও ‘তখন আমার আবেগে কাজ করছে, বিবেক কাজ করে নাই।’
জাস্ট লুকিং লাইক অ্যা ওয়াও
বলিউড নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোনের ডায়ালগ ‘জাস্ট লুকিং লাইক অ্যা ওয়াও’ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। তাকে দিয়ে শুরু হয়ে এখন সবার মুখে মুখে, ফেসবুক, টিকটকে, ইউটিউবে–সো বিউটিফুল, সো এলিগেন্ড, জাস্ট লুকিং লাইক অ্যা ওয়াও।
ময়ে ময়ে
‘ময়ে ময়ে’ গান হলেও পরিণত হয় ডায়ালগে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলে গানের অংশবিশেষ। ‘ময়ে ময়ে’ টিকটকে ছড়িয়ে পড়ার পর এটি নিয়ে ভিডিও বানানোর হিড়িক পড়ে যায়। ফেসবুক রিল ও ইউটিউব শর্টেও জনপ্রিয়তা পায় এটি। বিভিন্ন কমেন্ট, ট্যাগ, হ্যাশট্যাগেও ধরা দেয় শব্দযুগল। যদিও এর সঠিক উচ্চারণ ‘ময়ে মরে’।
কেন্দে দিয়েছিলাম
কিছুদিন আগে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়েন প্রয়াত অভিনেতা আব্দুল কাদেরের নাতনি ও শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবা। একপর্যায়ে কথা বলতে গিয়ে ‘কেন্দে দিয়েছি’ বলেন তিনি। আর যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। নানারকম কটু মন্তব্য়ে ট্রল করছেন তাকে। যদিও পরে এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কেন্দে দিয়েছি—এখন আমিও বলি।’ অপর এক প্রশ্নে সে হাসতে হাসতে জানায়, ‘হ্যাঁ, ইট ইজ মাই ট্রেডমার্ক।’
মূলাখেত কারেঙ্গে
‘তুম হে হাম হে মোলাকাত কারেঙ্গে’ গানটির প্যারোডি কাকে না হাসিয়েছে? যেখানে মোলাকাতকে করে দেওয়া হয়েছে মূলাখেত। অর্থাৎ, মূলা নামে সবজির খেত। সব যোগাযোগ মাধ্যমেই ট্রেন্ডিং কাঁপিয়েছে এই প্যারোডি। এখন যা মানুষের ডায়ালগেও পরিণত।
আমার বয়মপাখি কই
নাসির উদ্দিন খানের গাওয়া মজার একটি গান ‘বৈয়াম পাখি’। যার গীতিকার খৈয়াম সানু সন্ধি ও ম্যাক্স রহমান। খৈয়াম সানু সন্ধির মিউজিকে পরিচালনায় ছিলেন শিহাব শাহীন। সেই গানে ছিল, ‘তৈ তৈ তৈ/আমার বৈয়ম পাখি কই?’ পরে যা মানুষের মুখেমুখে আর নেট দুনিয়ায় ভাইরাল।
সবুরে লেওয়া ফলে
কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সবুরে না কি লেওয়া ফলে।’ এরপর উপস্থাপিকা ফের জানতে চান, ‘কী ফলে?’ হিরো আলম বলেন, ‘লেওয়া।’ ব্যাস, ভাইরাল হয়ে যায় এই ডায়ালগ।
ব্যথা আছে?
স্মিতা চৌধুরীকে কে-ই-বা না চেনেন। বাংলা, ইংরেজি সব ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতা নিয়ে চলা এই উপস্থাপকের ‘ব্যথা আছে?’ ডায়ালগ ছিল ২০২৩ জুড়ে। এক শিশুর কাছে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, ‘কেমন লাগেছ?’ শিশুটি জানায়, ‘অনুষ্ঠানে ভাল লাগবে না?’ ‘এটা কীসের অনুষ্ঠান’ প্রশ্নে শিশুটি বলে, ‘মুসলমানির।’ আবার দেখা যায়, স্মিতা জিজ্ঞেস করছেন, ‘ব্যথা আছে?’ শিশুটি তাকে জিজ্ঞেস করে, ‘কোথায়?’ পরে হাসতে হাসতে একই প্রশ্ন ফিরিয়ে দেন স্মিতা। ছেলেটিও লাজুক হাসিতে জানায়, ‘না।’ মজার এই ঘটনার শেষাংশে স্মিতার কানে কানে কিছু বলতে দেখা যায় ওই বালককে।
আমার হাতে ব্যাট থাকলে আমি মাথা ফাটাই দিতাম
শোবিজ তারকা রাজ রিপার একটি বক্তব্যে অংশ ভাইরাল হয়েছিল। সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগে মারামারির কথা অনেকেরই মনে আছে নিশ্চয়। সেখানে রাজ রিপা চার মেরেছিলেন বলে দাবি করেন। সেই চার না দেওয়ায় ঘটে বিপত্তি। সেখানে গণমাধ্যমে তিনি বলেছিলেন, ‘ওরা আমাদের ক্যারিয়ার নষ্ট করবে? পারবে না।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার হাতে ব্যাট থাকলে আমি মাথা ফাটাই দিতাম।’