একাত্তরে জন্ম নিলে এই শিল্পীরা রাজাকারের দায়িত্ব পালন করতো : ফারুকী
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’ কাণ্ডে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, এরা শুধু শিল্পী হিসাবে না মানুষ হিসাবেও নীচু প্রকৃতির।
নির্মাতা এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এটা নিশ্চয়ই বেদনার যে আমাদের দেশে শিল্পীর সাইন বোর্ড নিয়ে এমন লোকজন ঘুরে বেড়াতো যারা গণহত্যায় প্রত্যক্ষ উসকানিদাতা অথবা কেউ কেউ নীরব সমর্থক ছিল। এরা শুধু শিল্পী হিসাবে না, মানুষ হিসাবেও নীচু প্রকৃতির। একাত্তরে জন্ম নিলে এরা রাজাকারের দায়িত্ব পালন করতো। ফলে এদের এযুগের রাজাকার বলতে পারেন। নিশ্চয়ই এদের বিচার হবে গণহত্যায় সমর্থন এবং উসকানি দেয়ার অপরাধে।’
শেষাংশে ফারুকীর ভাষ্য, ‘কিন্তু আশার দিকটা আপনাদের বলি। দেখবেন এই গ্রুপের বেশিরভাগই আসলে কোনো শিল্পচর্চার সাথে সেই অর্থে জড়িত না। আমাদের মেইনস্ট্রিম (মানে টেলিভিশন, ওটিটি, এবং ফিল্মে যারা প্রধান শিল্পী; তথাকথিত এফডিসি বোঝানো হয়নি মেইনস্ট্রিম শব্দটা দিয়ে) অভিনয় শিল্পী বা ফিল্মমেকারদের কেউই এদের সাথে নাই। এরাই আমাদের প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার।’
নির্মাতা আরও বলেন, ‘সহকর্মী এবং শিল্পীদের ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটগুলো উল্লেখ করে যারা অত্যাচারীর সাথে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিল এবং আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলেছিল। অত্যাচারী যদি বেঁচে যেত তাহলে আমার এবং তিশার কোনও না কোনোভাবে ক্ষতি করতো। সরকারের উচিত হবে ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটগুলো খতিয়ে দেখা, ১৪৬টি স্ক্রিনশট পাওয়া যায়। এই আন্দোলনের সময় যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে উসকানি দিয়েছে তাদের প্রত্যেকেরই তদন্ত করে বিচার করা উচিত।’
বিনোদন অঙ্গনের কয়েকজনকে নিয়ে গড়া ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট মঙ্গলবার সকালে প্রকাশ্যে আসে। যে গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস। ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে, ওই গ্রুপে অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সোহানা সাবাকে যাদের অবস্থান ছিল গেল জুলাইয়ে ঘটা ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষে তারা সেখানে যেভাবেই হোক আন্দোলন থামাতে হবে এমন মতামত দিচ্ছেন।
সেই গ্রুপে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌসসহ অ্যাডমিন হিসাবে ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, নায়ক রিয়াজ ও সাজু খাদেম। তবে প্রকাশিত স্ক্রিনশট শটে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাসসহ কয়েকজন।