নায়ক সালমান শাহর জন্মদিন আজ
নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে এই নায়ক রেখে গেছেন ২৭টি চলচ্চিত্র এবং অগণিত ভক্ত। তাকে বলা হতো বাংলা চলচ্চিত্র জগতের রাজপুত্র। ‘সপ্নের নায়ক’ নেই দুই যুগ পেরিয়ে গেছে, তবুও এখনো তার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা এবং আবেদন। এখনো টিভির পর্দায় তার সিনেমা প্রচার হলে দর্শক আগ্রহ নিয়ে দেখেন। বর্তমানে তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো বাংলা চলচ্চিত্র সমৃদ্ধ হতো আরও বহু সুপারহিট সিনেমায়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সেই ক্ষণজন্মা নায়কের জন্মদিন। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন এই নায়ক। পিতা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরীর বড় ছেলে শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন সালমান শাহ হয়েছিলেন ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে।
ঢাকাই সিনেমার নায়ক হওয়ার আগে সালমান শাহর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল টেলিভিশন নাটক দিয়ে। ১৯৮৫ সালে বিটিভির ‘আকাশ ছোঁয়া’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে যাত্রা শুরু করেন এই তুমুল জনপ্রিয় নায়ক। এরপর অভিনয় করেছেন—দেয়াল (১৯৮৫), সব পাখি ঘরে ফেরে (১৯৮৫), সৈকতে সারস (১৯৮৮), নয়ন (১৯৯৫) এবং সবশেষ স্বপ্নের পৃথিবী (১৯৯৬) নাটকে।
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয়ের পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি সালমান শাহকে। রুপালি পর্দায় অভিষেকের পর খুব শিগগিরই সালমান শাহ হয়ে উঠেছিলেন কোটি তরুণ-তরুণীর স্বপ্নের নায়ক। চার বছরের ক্যারিয়ারে মাত্র ২৭ সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন আকাশ সমান জনপ্রিয়তা।
সালমান শাহর সঙ্গে চিত্রনায়িকা শাবনূরের জুটি ছিল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তাদেরকে সবচেয়ে সেরা জুটিও বলেন অনেকে। একসঙ্গে ১৪টি ছবি করেছিলেন তারা। প্রতিটিই সুপারহিট।
তার অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম অন্তরে অন্তরে, সুজন সখী, স্বপ্নের নায়ক, স্বপ্নের ঠিকানা, চাওয়া থেকে পাওয়া, জীবন সংসার, প্রেম প্রিয়াসী, সত্যের মৃত্যু নেই, মায়ের অধিকার, এই ঘর এই সংসার, তোমাকে চাই, আনন্দ অশ্রু, বুকের ভেতর আগুন ইত্যাদি।