সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মন্তব্য, মন্ত্রীকে নাগার তুলোধুনো
ভারতীয় দক্ষিণী অভিনেতা নাগা চৈতন্য এবং অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে তেলেঙ্গানার বন ও পরিবেশমন্ত্রী কোনডা সুরেখার বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে উত্তাল চারদিক। তবে এবার মুখ খুললেন অভিনেতা নাগা চৈতন্য। তিনি রাজনীতিবিদকে তার মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুও সুরেখার উদ্দেশে বলেছেন, তিনি যেন একজন নারী হিসেবে অন্য কোনো নারীর সম্মানহানি না করেন।
অবশেষে, সামান্থার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিলেন নাগা চৈতন্য। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক এবং দুর্ভাগ্যজনক একটি সিদ্ধান্ত যা একজনকে নিতে হয়। অনেক চিন্তাভাবনার পর, আমি ও আমার প্রাক্তন স্ত্রী আলোচনার ভিত্তিতে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে এ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ভিত্তিহীন এবং সম্পূর্ণ হাস্যকর গুজব তৈরি হয়েছে। আমি আমার প্রাক্তন স্ত্রী এবং সেই সঙ্গে আমার পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার কারণে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে নীরব রয়েছি। আজ মন্ত্রী কোন্ডা সুরেখা যে দাবি করেছে তা কেবল মিথ্যাই নয়, এটি একেবারেই হাস্যকর এবং অগ্রহণযোগ্য। নারীরা সমর্থন ও সম্মান পাওয়ার যোগ্য। মিডিয়ার শিরোনামের জন্য সেলিব্রিটিদের ব্যক্তিগত জীবনের সিদ্ধান্তের সুবিধা নেওয়া এবং শোষণ করা লজ্জাজনক।’
২০২১ সালে নাগা ও সামান্থা বিবাহবিচ্ছেদের কথা সামনে আনেন। তবে তারপর থেকে কখনো তাঁরা এই নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেননি। ইতোমধ্যেই নাগা বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী শোভিতা ধুলিপালাকে।
যা বলেছিলেন মন্ত্রী
কোনডা সুরেখা দাবি করেন, সামান্থা ও নাগার বিচ্ছেদের পিছনে রয়েছে এক সুগভীর রাজনৈতিক চক্রান্ত। এই চক্রান্তের পেছনে হাত ছিল তৎকালীন মন্ত্রী কেটি রামা রাও’র! এক রাজনৈতিক সভায় দেওয়া বক্তব্যেই এমনটা দাবি করেন কোনডা সুরেখা।
বনমন্ত্রী বলেন, ‘কেটি রামা রাওয়ের জন্যেই সামান্থার বিচ্ছেদ হয়েছে। উনি তৎকালীন সময়ে মন্ত্রী ছিলেন। বিভিন্ন অভিনেত্রীর ফোনে আড়ি পাতা তার কাজ ছিল। সেই আড়ি পেতে অভিনেত্রীদের হাঁড়ির খবর খুঁজে বের করতেন। এরপর সেই গোপন তথ্য পাওয়ার পর অভিনেত্রীদের ব্ল্যাকমেইল করতেন! অভিনেত্রীদের মাদকের নেশা ধরাতে একপ্রকার বাধ্য করতেন। যে কারণে সংসার জীবনে বিচ্ছেদের পথে হাঁটা ছাড়া তাদের আর কোনও গতি থাকত না! এ কথা সবাই জানেন। সামান্থা জানে, নাগা চৈতন্য জানে, তাদের বাড়ির লোক জানে।’
যদিও ইতোমধ্যেই নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার উদ্দেশ্য ছিল একজন নেতা কীভাবে নারীর প্রতি অবজ্ঞা করছে, তা বোঝানো। কিন্তু আপনার অনুভূতিতে আঘাত করা নয় সামান্থা। আপনি যেভাবে নিজেই দ্রুতগতিতে বেড়ে উঠেছেন, তার আমি প্রশংসা করি। যদি আপনি বা আপনার ভক্তরা আমার কথায় আঘাত পেয়ে থাকেন, আমি নিঃশর্তভাবে তা প্রত্যাহার করছি। দয়া করে অন্যভাবে নেবেন না।’