পরিবেশ দূষণ রোধে শিশুদের পিটিশন!
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/03/photo-1443854982.jpg)
সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকার কবিরা কতই না করেছেন। কিন্তু আধুনিক বিশ্ব, কবির সংকল্প অনুযায়ী চলছে না। দুনিয়াকে শিশুর বাসযোগ্য করে তোলা তো দূরের কথা; ক্রমাগত ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়ছে পৃথিবীর পরিবেশ।
বায়ু দূষণের ফলে বিশুদ্ধ অক্সিজেন গ্রহণের মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। ফলে বড়দের ওপর আস্থা হারিয়ে শিশুরাই দিচ্ছে পরিবেশ রক্ষার ডাক। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানী, দিল্লির বায়ুদূষণ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছে তিন শিশু।
ছয় মাসের এই তিন শিশুর পক্ষে রিট পিটিশনটি দায়ের করেছেন তাদের অভিভাবকরা। বায়ু দুষণকারী পটকা ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে এই পিটিশনে। তাদের দাবি, পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়াটা শিশুদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু বায়ু দূষণের ফলে তাদের পড়তে হচ্ছে অনেক জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধির কবলে। অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে ফুসফুস ও নানাবিধ স্নায়ুজনিত রোগে। আর এই দুষণের জন্য অত্যধিক পরিমাণ পটকা ও আতশবাজি পোড়ানোকে দায়ী করে সেটা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে পিটিশনকারী তিন শিশু ও তাদের অভিভাবকরা। ভারতের সুপ্রিম কোর্টও বিষয়টিকে শিশুদের মৌলিক অধিকারের জন্য হুমকি বিবেচনা করে পিটিশনটি গ্রহণ করেছে।
গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই পিটিশন দায়ের করা হয়েছে দিওয়ালির ছয় সপ্তাহ আগে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান এই উৎসবে প্রচুর পটকা ও আতশবাজি পোড়ানো হয় ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। যা তৈরি করে একটা ঝাঁঝালো ধোঁয়া।
পিটিশনে বলা হয়েছে, ‘উৎসবগুলোতে যে বিপুল আতশবাজি পোড়ানো হয় তা পরিষ্কারভাবে এই আবেদনকারী ও দিল্লির অন্য শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। আতশবাজি পোড়ানোর মাধ্যমে হয় ক্ষণস্থায়ী ও অগভীর একটা আনন্দ পাওয়া যায়। কিন্তু এর নেতিবাচক প্রভাবগুলো দীর্ঘমেয়াদে পড়ে ফুসফুস ও স্নায়ুর ওপর, যা স্থায়ীভাবে ক্ষতির কারণ হয়।’
গত বছর পৃথিবীর এক হাজার ৬০০টি শহরের ওপর গবেষণা চালিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেখানে দেখা গেছে বায়ুবাহিত এক ধরনের ছোট্ট কণার পরিমাণ দিল্লিতেই সবচেয়ে বেশি। পিএম২.৫ নামে পরিচিত এই কণাগুলো খুব সহজেই ফুসফুসে প্রবেশ করে। এমনকি রক্তের মধ্য দিয়েও প্রবাহিত হতে পারে। তৈরি করে ব্রঙ্কাইটিস, ফুসফুস ক্যান্সার ও বিভিন্ন হৃদরোগ।