বিশ্বের যত আজব চা
দিন বা রাত যেকানো সময় বাঙালির কাছে এক কাপ ধোয়া ওঠা চা পরম প্রিয়। সকালে ওঠার পর গরম গরম এক কাপ চা ছাড়া নাস্তাটাই বৃথা। আমাদের দেশের অলিতে-গলিতে টং-এর দোকানগুলোতে সবসময় ভীড় লেগেই থাকে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যেকোনো ঋতুতেই চা সবার কাছে প্রিয়। চা ছাড়া কোনো আড্ডাই জমে না। লেবু চা, মশলা চা, মরিচ চা, মাল্টা চা, অপরাজিত চা আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু সারা বিশ্বে বেশ কিছু আজব চা পাওয়া যায়। যেগুলোর উপাদানগুলো উদ্ভট।
❃ টমেটো মিন্ট চা
এটি একটি সুস্বাদু চা। টমেটো এই চায়ের প্রধান উপাদান। এর সাথে পুদিনা মিশ্রণ হওয়ায় সামান্য অদ্ভুত স্বাদ যোগ করে। অনেকেই বলেছেন এর স্বাদ স্যুপের মতো।
❃ রসুন চা
আপনি চাইলে চায়ের মতো করে এক গ্লাস রসুনের রস খেতে পারেন। আর এই চায়ের স্বাস্থ্যগুণও অনবদ্য।
❃ সিলোসিবিন মাশরুম চা
সিলোসিবিন মাশরুম শক্তিশালী সাইকেডেলিক্স। এই ধরনের চা বিশ্বের অনেক দেশে নিষিদ্ধ।
❃ স্পার্কলিং চা
স্পার্কলিং চায়ে সামান্য টুইস্ট যোগ করা হয়। এটা তৈরি হয় বোতলবন্দি চায়ে কার্বনেশন যোগ করে। সাধারণত ঠাণ্ডা করে এই চা পান করা হয়।
❃ পু-এরহ চা
পু-এরহ চা চায়নাতে পাওয়া যায়। এটি একটি বিশেষ ফার্মেন্টেড সবুজ চা। এই চা ধীরে ধীরে একটি বিশেষ ছত্রাক ব্যবহার করে পুরাতন করা হয়। সারা বিশ্বে এই চায়ের জনপ্রিয়তা অনেক।
❃ কম্বুচা চা
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কম্বুচা চায়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি একটি টক চা। এই চা ব্যাকটেরিয়া এবং ইস্ট ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।
❃ স্যালভিয়া চা
এটি একটি হ্যালুসিনোজেন পানীয় যা মেক্সিকান আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানগুলিতে খাওয়া হয়। এই বিশেষ চা খাওয়ার চেষ্টা না করাই ভালো। কারণ এই চা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ।
❃ ফার্মেন্টেড ইয়াক মাখন চা
এই মাখনযুক্ত কনকোশন চা ইয়াক(তিব্বতের বৃহৎ লোমশ গরুজাতীয় প্রাণী) মাখন এবং লবণ মিশিয়ে খাওয়া হয়। এর প্রস্তুতিতে অর্ধেক দিন লেগে যেতে পারে। এটি নেপাল, ভুটান, ভারত এবং তিব্বতের হিমালয়ের অঞ্চলে জনপ্রিয় পানীয়।
❃ আওবাঞ্চা
এই চা জাপানের শিকোকু দ্বীপে ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া দিয়ে গাঁজন করা হয়। মায়ানমার থেকে আচারযুক্ত চা পাতার সালাদ যোগ করা হয়। এই চাকে অস্বাভাবিক করে তোলে এর প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি।
সূত্র- টি ব্লুম/ এনডিটিভি