সঙ্গীর সঙ্গে কলহ, বন্ধুকে না বলাই ভালো
হতে পারে, কেউ একজন আপনার খুব কাছের বন্ধু। যাকে আপনি সব ধরনের কথা বলেন। অনেক বছর ধরেই হয়তো সে আপনার জীবনের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু একজন বন্ধুকে নিজের জীবনে কতটুকু জড়ানো উচিত? সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যখনই আমরা আমাদের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়া করি বা আমাদের দাম্পত্য জীবনে যখনই সমস্যা দেখা দেয়, তখনই আমরা আমাদের বন্ধু, পরিবার বা বাইরের কাউকে বলে স্বস্তি পাই। অথচ এটা দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ, আপনার কষ্ট দেখে আপনার বন্ধু হয়তো আপনার সঙ্গীর সঙ্গে বলার বলার চেষ্টা করবে, যা সে কখনোই ভালোভাবে নেবে না; বরং এটি আপনাদের সম্পর্ককে পুরোপুরি নষ্ট করে দিতে পারে।
কেন নিজেদের সম্পর্কের কথা বন্ধুদের বলবেন না, সে সম্বন্ধে কয়েকটি কারণ তুলে ধরা হয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়ায়। আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন।
১. আপনার সঙ্গী সম্পর্কে আপনার বন্ধুদের খারাপ ধারণা হতে পারে। সমস্যা সব সম্পর্কেই থাকে। আবার ঠিকও হয়ে যায়। কিন্তু আপনি যদি বারবার নিজেদের সমস্যার কথা বন্ধুদের বলতে থাকেন, তাহলে আপনার বন্ধুদের কাছে আপনার সঙ্গীর ব্যক্তিত্ব পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে। আর আপনাদের যদি এমন কোনো বন্ধু থাকে যে আপনারও বন্ধু আবার আপনার সঙ্গীরও বন্ধু, তাহলে দুজনই তার কাছে বড় মুখ করে কখনোই কথা বলতে পারবেন না। এটা খুবই লজ্জাজনক একটা বিষয়।
২. আপনার সঙ্গী আপনাকে আর বিশ্বাস করবে না। কারণ, সে যদি বুঝতে পারে আপনি ঘরের কথা বাইরে মানুষকে বলে বেড়ান, তাহলে সে কোনো কথাই আপনাকে বলতে চাইবে না। তাই নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়ে বন্ধুকে না জড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
৩. আপনার বন্ধু যদি বিশ্বাসযোগ্য না হয়, তাহলে ভুলেও তাকে কিছু বলবেন না। কারণ, সে আপনাদের ব্যক্তিগত বিষয় সবাইকে বলে বেড়াবে, যা আপনাদের সম্পর্কের জন্যই ক্ষতিকর।
৪. আপনার বন্ধুর ভুল উপদেশে আপনাদের সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে। তাই নিজেদের সমস্যার কথা যতটা পারুন, এড়িয়ে চলুন। কারণ, আপনার বন্ধুর কথা যে সব সময় ঠিক হবে, তা কিন্তু নয়। তাই অযথা তার উপদেশ শুনে লাভ নেই।
৫. আপনার বন্ধু যদি মনে মনে আপনার ক্ষতি চায়, তাহলে সে এই কথা শুনে আরো সুযোগ নেবে। কার মনে কী আছে, তা বোঝা মুশকিল। তাই সবাইকে নিজের ব্যক্তিগত বিষয় বলবেন না, সে যতই কাছের বন্ধু হোক।