২১ লাখ টাকার শাড়ি!
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/07/13/21_lkss_ttaakaar_shaaddi_pinterest.jpg)
শাড়ি, বাঙালি নারীর ঐতিহ্য। এটি একটি মার্জিত পোশাক বলে বিবেচিত হয়। আমাদের দেশের রাজশাহী সিল্ক, বেনারসি শাড়ি, মণিপুরি শাড়ি , জামদানি, তাঁতের শাড়ি বেশ জনপ্রিয়। পাশাপাশি ভারতীয় কাঞ্জিভরম শাড়ি, বন্ধনী শাড়ি, চিকনকারি শাড়িরও বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে।
বাজারে শাড়ি কিনতে গেলে আপনি আনুমানিক কত টাকা খরচ করবেন? ৫০০০ টাকা? খুব বেশি হলে ১০-১৫ হাজার টাকা। বিত্তশালীরা হয়ত একটি শাড়ি কিনতে ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ করবেন। কিন্তু শাড়ির দাম যদি হয় ৩০ লাখ টাকা, তাহলে ব্যাপারটি কেমন হবে?
ভারতে লক্ষ্ণৌতে সম্প্রতি একটি শাড়ির দাম ওঠেছে প্রায় ২১ লাখ রূপিরও বেশি। যা কিনা বাংলাদেশি টাকার প্রায় ৩০ লাখ! শাড়িটি তার দামের কারণে মনোযোগ আকর্ষণ করছে। দাম জানার পরে যে প্রশ্নটি মনে আসে তাহল, কি এমন আছে যা এটিকে এত ব্যয়বহুল করে তুলেছে? চকচকে সাদা রঙের শাড়িটিকে লক্ষ্ণৌয়ের রাজকীয় শাড়ি বললে ভুল হবে না। শাড়িটি তৈরি করতে প্রায় দুই বছর সময় লেগেছিল। এই শাড়িটি বিলুপ্তপ্রায় চিকনকারি সেলাই দ্বারা নকশা করা হয়েছে। যা এখন খুব কম কারিগরই তৈরি করছেন। শুধু তাই নয়, এই শাড়িতে ক্রিস্টাল দিয়েও নকশা করা হয়েছে। যা কিনা শাড়ির উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেছে কয়েক গুণ।
লক্ষ্ণৌয়ের হজরতগঞ্জে অবস্থিত এডিএ ডিজাইনার চিকন স্টুডিও এই শাড়িটি তৈরি করেছে। স্টোর ম্যানেজার হায়দার আলি খান সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, “এটি একটি শিল্পকর্ম। যার দাম প্রায় ২১ লাখ রূপি। এটি তৈরি করতে চোখের ওপর প্রচুর চাপ গিয়েছে। প্রায় দুই বছর সময় লেগেছে শাড়িটি বানাতে। সুতোর কাজের মাধ্যমে চিকনকারি করা হয়। তারপর একটি চমৎকার জারি দিয়ে কাজ করা হয়। এই শাড়িতে ব্যবহৃত মুক্তা সহ বেশিরভাগ উপাদান জাপান থেকে এসেছে। তাছাড়া এতে অরিজিনাল সোয়ারোভস্কি ব্যবহার করা হয়েছে”। মোট কথা, চিকনকারি নকশা, জাপানিজ মুক্তা ও সোয়ারোভস্কির কারণেই এই শাড়ির দাম এত বেশি।
তিনি আরও জানান যে, পুরো শাড়িটি একই তারে তৈরি করা হয়েছে। এতে খরচ বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে তাঁর দোকানে ১০ লাখ টাকার আরেকটি শাড়িও রয়েছে। দুবাইয়ের এক গ্রাহক বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য এই শাড়িটির অর্ডার দিয়েছেন। প্রায় দুই বছর আগে তিনি এই শাড়ি তৈরি করার অর্ডার পেয়েছিলেন। তারা প্রায় একই দামের আরেকটি শাড়িরও অর্ডার দিয়েছে, যা তৈরি করা হচ্ছে। এই শাড়িটি লক্ষ্ণৌয়ের অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস