কেন ক্রিসমাসকে ‘বড়দিন’ বলা হয়?
আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব ক্রিসমাস। ক্রিসমাসকে বড়দিন নামেই চেনেন বেশিরভাগ। কিন্তু কেন এই দিন বড়দিন হলো তার তাৎপর্য বেশিরভাগেরই অজানা। তবে কী এই দিনে সূর্য সবচেয়ে দেরিতে ডোবে? এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় অনেকের মনে।
যিশুর জন্মদিন কেউ জানে না। বাইবেলে যীশুখ্রিষ্টের জন্মের নির্দিষ্ট কোনো তারিখ দেওয়া নেই। কিন্তু ৩৩৬ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ থেকে এটি যিশুর জন্মদিন হিসেবেই নথিভুক্ত করেন রোমানরা। তারপর থেকেই এই দিনে পালিত হয় ক্রিসমাস। বেথেলেহেম শহরের এক আস্তাবলে পিতা জোসেফ ও কুমারী মাতা মেরির কোল আলো করো জন্ম নেন যিশুখ্রিষ্ট। ‘এই দিন থেকে ঠিক ৯ মাস আগে যিশুকে গর্ভে ধরেন মাতা মেরি।’ এমন মনে করেই এই দিনকেই ক্রিসমাস হিসাবে স্বিকৃতি দেওয়া হয়।
বিশ্বের প্রিটা কোণায় ধুমধাম করে এদিন উদযাপন করেন খ্রীষ্টধর্মীয়রা। রঙ-বেরঙের কেক, চকলেট, আলো দিয়ে আনন্দের সঙ্গে বড়দিন পালন করেন আট থেকে আশি। এবার আসা যাক কেন এদিন ‘বড়দিন’ তার তাৎপর্য।
এদিন সবচেয়ে দেরিতে সূর্য ডোবে বলে একে ‘বড়দিন’ বলা হয় না। শীতের অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক হারে প্রাকৃতিক নিয়মেই সূর্য ডোবে এদিন। ‘বড়দিন’ বলতে বিশেষ দিন বা ইংরেজিতে বলেতে গেলে ‘দ্যা গ্রেট ডে’। ‘লং ডে’ নয় বরং ‘গ্রেট ডে’ হিসেবেই ২৫ ডিসেম্বরকে বড়দিন বলা হয়। যিশুর জন্মদিনটা খ্রীষ্টধর্মীয়দের কাছে শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচিত তাই এদিনকে বাংলায় বড়দিন বলা হয়।