দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম

শীত শেষ হতেই সারাদেশে গরম পড়তে শুরু করেছে। আর এই গরমে পানিশূন্যতা একটি বড় সমস্যা। পানিশূন্যতা থেকে ক্লান্তি ও অবসন্ন ভাব হয়। তাই এই রমজানে ইফতারের পর আমরা বিভিন্ন পানীয় খেয়ে সেই পানিশূন্যতা দূর করার চেষ্টা করি। এর মধ্যে রয়েছে তরমুজ, শসা, ডাবের পানি, কমলা, পানিসমৃদ্ধ সবজি ইত্যাদি। এগুলো শরীরকে ঠান্ডা রাখে। তবে এগুলো ছাড়াও গরমের সময় দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে।
দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই ভাল, তবে গরমে এটি খাওয়ার সঠিক উপায় জানাটাও কিন্তু জরুরি। তবে দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য, অভ্যাস এবং খাওয়ার উদ্দেশ্যের ওপর। তবে সাধারণভাবে কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে দই থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ পাওয়া সম্ভব।
কীভাবে দই খাবেন?
– দই খাওয়ার আগে এতে সামান্য পানি মেশাতে হবে, কারণ দইয়ের প্রকৃতি গরম, এমন অবস্থায় পানি যোগ করলে ভারসাম্য তৈরি হয় এবং দই ক্ষতিকর না হয়ে উপকারী হয়।
– চিনি বা জিরার গুঁড়া ইত্যাদি মিশিয়ে অনেকে দই খেতে পছন্দ করলেও বেশিরভাগ মানুষ শুধু লবণ দিয়ে দই খাওয়া পছন্দ করেন। কিন্তু, লবণ দিয়ে দই খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
– কেউ যদি দই খেতে পছন্দ করেন, তাহলে দইয়ের সঙ্গে চিনি, আমলকির গুঁড়ো, মধু ইত্যাদি মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি শরীরকে বিভিন্ন পুষ্টি সরবরাহ করে।
– দই কখনোই গরম খাওয়া উচিত নয়। এটি শরীরের জন্য বেশ বিপজ্জনক হতে পারে। দই গরম খাবারের সঙ্গে খেলেও এর প্রোবায়োটিক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
– সরাসরি দই খাওয়া উচিত নয়। এতে অনেক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এতে ত্বকের সমস্যা, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা এবং শরীরে তাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই যখনই দই খাবেন, তাতে হালকা পানি মেশাতে হবে। মনে রাখবেন দইয়ে একেবারেই লবণ দেওয়া যাবে না।
কখন দই খাবেন?
ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. নেহা গয়াল বলেন, শুধুমাত্র দিনের বেলা দই খাওয়া উচিত। কারণ রাতে দই খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
দই খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। দই খেলে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি থেকে পুষ্টি পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্ককে শক্তি দেয়। এটি শরীরের পেশিকে শক্তি দেয় এবং হাড়কে শক্তিশালী করে।