মাদারীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩
সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তোলার পর মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম আক্তার হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর দুই সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে মাদারীপুর শহরের বিসিক এলাকায় চেয়ারম্যানের নিজ কার্যালয় থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চেয়ারম্যানের দুই সহযোগী হলেন শাহিন মুন্সী ও তারা মিয়া। পরে গ্রেপ্তার তিনজনকেই জেলে পাঠানো হয়।
চেয়ারম্যানের ছোট ভাই বখতিয়ার হাওলাদার দাবি করেন, ইউনিয়নে নির্মাণাধীন চারটি সেতুর কাজে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে গত রোববার তাঁর ভাই নজরুল ইসলাম সেতুর কাজ দেখতে যান। এ সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডা হয়। পরে গ্রামবাসী অনিয়মের অভিযোগ এনে সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার দাবি তোলে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই এলজিইডি কর্তৃপক্ষ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে ওই রাতেই এলজিইডির কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে সদর থানায় মামলা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। তাই চেয়ারম্যান ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
সদর উপজেলার এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নে চারটি সেতুর নির্মাণ প্রকল্প আহ্বান করা হয়। বৃহত্তম ফরিদপুর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে সেতুগুলোর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় দুই কোটি এক লাখ ৮০ হাজার ১০৭ টাকা। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অর্থ বরাদ্দ দেয়। সেতুর কাজ পায় যৌথভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রগতি-মিজান (জেভি)। কিন্তু ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে দীর্ঘদিন নির্মাণকাজ বন্ধ রাখে। কার্যাদেশ অনুযায়ী, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। তাই তড়িঘড়ি করে কাজ করতে গিয়ে মান খারাপ হয় বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা।