‘আপনি জেনেশুনে আরেকজনের বউকে বিয়ে করলেন’, নাসিরকে রাকিব
বিয়ের পর স্ত্রী তামিমা তাম্মিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নাসির হোসেন। নবদম্পতির বিয়ের আনন্দের রেশ না কাটতেই অভিযোগ উঠেছে, প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেছেন তামিম।
বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াইয়ের আভাস দিয়েছেন তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসান। এ খবর শুনে, তামিমার প্রথম স্বামীকে ফোন করেছেন নাসির হোসেন। ওই ফোনের অডিও ক্লিপ এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। ওই ক্লিপে নাসির জানিয়েছেন, সব জেনেশুনেই তামিমাকে বিয়ে করেছেন তিনি।
তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসানের সঙ্গে নাসিরের কথোপকথনের চার মিনিট ২২ সেকেন্ডের একটি অডিও ভাইরাল হয়। নাসিরের সঙ্গে রাকিবের কথোপকথন হুবহু তুলে ধরা হলো –
নাসির : হ্যালো আসসালামু আলাইকুম। ভাইয়া আমি নাসির হোসেন বলছিলাম।
রাকিব : কোথা থেকে?
নাসির : ক্রিকেট খেলোয়াড় নাসির হোসেন।
রাকিব : কাকে চান?
নাসির : এটা রাকিবের নম্বর না? আপনি সেই রাকিব?
রাকিব : সেই রাকিব মানে?
নাসির : আমি আপনাকেই চাচ্ছিলাম। ভালো আছেন আপনি?
রাকিব : জি, আলহামদুলিল্লাহ।
নাসির : আপনাকে কিছু কথা বলার জন্য ফোন দিয়েছি। আপনি যা করলেন!
রাকিব : কী করলাম?
নাসির : আপনি নাকি জিডি করছেন? এগুলো করে কী পাচ্ছেন আপনি, আমাকে আজকে বলবেন?
রাকিব : কিছু পাচ্ছি না। আপনি তামিমার সম্পর্কে কিছু জানেন?
নাসির : সব কিছু জানি।
রাকিব : কী কী জানেন?
নাসির : সবকিছু। ওর বাচ্চা আছে, বিয়ে হয়েছিল, বয়ফ্রেন্ড ছিল। জেনে শুনেই বিয়ে করছি। আপনি চান না তামিমা সুখে থাক?
রাকিব : আমি? তামিমা তো সুখেই আছে। আমি তো আর কোনো বিরক্ত করছি না।
নাসির : আপনি জিডি করছেন।
রাকিব : জিডি করব না? তামিমা তো আমাকে কোনো কাগজ দেয়নি। বুঝতে পারছেন না? তামিমার সঙ্গে আপনার যখন কথা হয়, তখন তামিমাকে বললাম নাসির কে? সে বলল, ‘আমার বন্ধু। আমার বাসায় এসেছিল জন্মদিনে। বাসায় আসে-যায়, শুধু বন্ধু।’ আপনি কথা শুনুন। আপনি জেনেশুনে আরেকজনের বউকে বিয়ে করে ফেলেছেন। তামিমা তো আমার সঙ্গে বসে পারতো, ‘রাকিব, তোমাকে ভালো লাগে না, চলে যাব।’ তাহলে সমস্যা ছিল না। ‘তুমি বসো, সব পেপার ক্লিয়ার করো। কাটছাঁট করো, সমস্যা নেই।’ আমারও তো একটা পেপার দরকার আছে, না? ভবিষ্যতে আমিও তো বিয়ে করব, তাই না? সেগুলো কিছু না করেই আপনার সঙ্গে বিয়ে করল?
নাসির : আপনি মনে করবেন না (যে) আমি লেটার না দেখে বিয়ে করেছি।
রাকিব : আপনি কী দেখেছেন জানি না। আমি ২০১১-তে বিয়ে করেছি। আমার মেয়ের বয়স আট বছর। তামিমার জন্য কী করেছি, কোনো ইতিহাস আপনি জানেন না। এখন আপনি যদি বলেন, আমি চাই না তামিমা সুখী হোক। আপনি চাননি আমি আর তামিমা সুখী থাকি? জানেন, একজনের মেয়ে আছে, সংসার আছে, তো আপনি এটা কীভাবে করলেন?
নাসির : আপনার সঙ্গে তো সংসার নেই, বুঝতে পারছেন না? ভাই, আমি এত ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কথা বলতে পারি না। শুধু এতটুকু জানতে চাই, আপনি কি চান না তামিমা সুখী থাক? যদি চান, তাহলে এটা নিয়ে আর কোনো কিছুই করবেন না।
রাকিব : তামিমা সুখে থাকবে কীভাবে?
নাসির : যদি তামিমা সুখে থাকত, তাহলে সে আপনার সঙ্গেই থাকত।
রাকিব : আপনি আমাকে ফোন দিয়েছেন কেন? আমি তো আপনাকে চিনি না। ফোন দেবে তামিমা আমাকে।
নাসির : তামিমা ফোন দেবে কেন?
রাকিব : অবশ্যই তামিমা ফোন দেবে। সমস্যা তো তামিমারই। নাকি আপনার এখন? আপনি যে বাসায় থাকছেন, সেই বাসার ফার্নিচারগুলোও আমার।
নাসির : তাই? আমি জানি, সবকিছুই জানি। আচ্ছা ভাই, আমার কথাগুলো শুনুন।
রাকিব : ভাই, আমি এখন নামাজে যাব। আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারতেছি না, এ জন্য সরি।