ডাবল ‘ডাবলে’ শ্রীলঙ্কার রানের পাহাড়
গল যেন দু’হাত ভরে দিচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। বিশেষত চলমান আয়ারল্যান্ড সিরিজে। এই মাঠেই আইরিশদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ইতিহাস গড়া জয় পেয়েছিল লঙ্কানরা। দ্বিতীয় টেস্ট এখনও শেষ হয়নি। এর আগে চতুর্থ দিনে ইতিহাস গড়ল লঙ্কানরা। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছে প্রথম চার ব্যাটারের প্রত্যেকে। এতে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা পায় ৭০৪ রানের বিশাল সংগ্রহ।
জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে আইরিশদের সংগ্রহ ৫৪ রান। ১৫৮ রানে পিছিয়ে থেকে আগামীকাল শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) পঞ্চম ও শেষ দিনে মাঠে নামবে আইরিশরা।
১ উইকেটে ৩০৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে খেলতে নামে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস ও নিশান মাদুসকা মিলে শেষ থেকেই শুরু করেন। এর আগে ক্যারিয়ারে মাত্র তিন ইনিংস খেলে মাদুসকা করেছিলেন ৩৯ রান। চতুর্থ ইনিংসে এসে নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন। প্রথম টেস্ট শতকটাকে টেনে নিয়ে যান ডাবলের দিকে। শেষ পর্যন্ত অ্যান্ড্রু বালবার্নির বলে লেগ বিফোর হওয়ার আগে ৩৩৯ বলে ২০৫ রানের ঝলমলে এক ইনিংস উপহার দেন তিনি।
অপর প্রান্তে থাকা কুশল মেন্ডিসও নিজের শতকটাকে রূপান্তরিত করেন দ্বি-শতকে। আউট হওয়ার আগে ২৯১ বলে ২৪৫ রানের চমৎকার ইনিংসটি মেন্ডিস সাজিয়েছেন ১৮ চার ও ১১ ছয়ে। ১১ ছয় মেরে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। শ্রীলঙ্কার পক্ষে এতদিন টেস্টের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮ ছয়ের রেকর্ড ছিল কুমার সাঙ্গাকারার দখলে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন সাঙ্গাকারা।
এর আগে গতকাল বুধবার টেস্টের তৃতীয় দিনে ১১৫ রান করে আউট হয়েছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। টেস্টে এটি তার ১৬ তম শতক। ওপেনার হিসেবে যা শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে সাবেক ওপেনার মারভান আতাপাত্তুর সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। চতুর্থ দিনে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের শতকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন করুনারত্নে। ১১৪ বলে ম্যাথুস ঠিক ১০০ পূর্ণ করার পরপরই ইনিংস ঘোষণা করেন তিনি। সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক ম্যাথুসের এটি ১৫ তম টেস্ট শতক।
দ্বিতীয় টেস্টে আগে ব্যাট করতে নেমে পল স্টার্লিং ও কার্টিস ক্যাম্পারের সেঞ্চুরিতে ৪৯২ রানের পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড। কিন্তু শ্রীলঙ্কার দানবীয় ব্যাটিংয়ের সামনে ম্লান হয়ে যায় সব। ইনিংস হার এড়াতে শেষ দিন ১৫৮ রান তুলতে হবে সফরকারী আয়ারল্যান্ডকে। হাতে আছে ৮ উইকেট।
সিরিজের প্রথম টেস্টে গলে আইরিশদের আড়াই দিনে ইনিংস ও ২৮০ রানের ব্যবধানে হারায় শ্রীলঙ্কা। যা তাদের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়।