ডারবান টেস্টে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে চটেছেন সাকিব
ডারবান টেস্টের চতুর্থ দিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই টেস্টে আম্পায়ারদের পক্ষপাতিত্বের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কারণ বাংলাদেশি বোলারদের আবেদনে তেমন সাড়া দিচ্ছেন না তাঁরা। আম্পায়ারদের এমন পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণে চটেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এই মুহূর্তে দলের সঙ্গে নেই সাকিব। পারিবারিক কারণে তিনি আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকেই টুইটারে ডারবান টেস্টের আম্পায়ারিং নিয়ে নিজের ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সাকিব।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে সাকিব লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, আইসিসির আবারও নিরপেক্ষ আম্পায়ারে ফিরে যাওয়া সময় হয়েছে। যেহেতু করোনা পরিস্থিতি ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোতে অনেকটাই ঠিকঠাক।’
নিজের স্ট্যাটাসের সঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে জুড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্ট। মূলত করোনার কারণে আম্পারিংয়ে কিছুটা পরিবর্তন এনেছিল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। নতুন নিয়মে করোনার সময়ে ভ্রমণে অসুবিধার কারণে টেস্টে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের বদলে এখন দায়িত্বে থাকেন স্বাগতিক দেশের আম্পায়াররা। যে কারণে নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে অতিথিদের ক্রিকেটারদের অসন্তুষ্টি দেখা যায়। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নাম। সতীর্থদের হয়ে সাকিব আল হাসান প্রথমবার এর প্রতিবাদ জানালেন।
ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচটিতে মাঠে দায়িত্ব পালন করা দুই আম্পায়ার মারাস ইরাসমাস ও আদ্রিয়ান হোল্ডস্ট্রোক। তাঁদের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্টি দেখা যায় ক্রিকেটারদের মাঝে।
পরিবারের অসুস্থতার কারণে ওয়ানডে সিরিজ খেলেই বাংলাদেশে ফেরেন সাকিব আল হাসান। তবে পরিস্থিতি ভালো হওয়া সাপেক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে খেলার কথা ছিল তাঁর। শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়নি। গত শুক্রবার রাতেই যুক্তরাষ্ট্র চলে গেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। যার কারণে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও সাকিবকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। সাকিবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে গেছে তাঁর বড় মেয়ে আলাইনা হাসান অব্রি। মূলত সেখানে অব্রির স্কুল খুলে যাওয়ায় তাকে নিয়ে যেতে হয়েছে সাকিবকে।