বড় সংগ্রহের পথে দ.আফ্রিকা, চাপে বাংলাদেশ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/10/30/bisibi.jpg)
টেস্টের প্রথম দিন পুরোটা সময় ব্যাট করেছেন টনি ডি জর্জি। গোটা দিনে বাংলাদেশের পাঁচ বোলার মিলেও ভাঙতে পারেননি তার প্রতিরোধ। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও অপ্রতিরোধ্য ডি জর্জি। দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই ব্যক্তিগত রান দেড়শ ছাপিয়ে গেছেন তিনি। ইতোমধ্যে দলীয় সাড়ে তিনশও ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি জর্জির ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে হাঁটছে অতিথিরা। তাতে ক্রমেই চাপ বাড়ছে বাংলাদেশের।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় প্রোটিয়াদের স্কোরবোডে রান ৩৬৬। আর ১৬৬ রানে ব্যাট করছেন ডি জর্জি। তার সঙ্গে থাকা ডেভিড বেডিংহ্যাম ছুঁয়ে ফেলেছেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক।
দ. আফ্রিকার ব্যাটিং দূর্গ ভাঙার লক্ষ্যে লড়াইয়ে বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন পুরোটাই নিজেদের দখলে রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টনি ডি জর্জি ও ত্রিস্তান স্টাবসের শক্ত জুটিতে গড়েছে রানের পাহাড়। দিন শেষে স্টাবস ফিরলেও উইকেট আগলে রেখেছেন জর্জি। তার ব্যাটে ভর করে রানের গতি আরো বাড়িয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা প্রোটিয়াদের। ম্যাচে ফিরতে বাংলাদেশেরও লক্ষ্য দ্রুত দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউট করা। দুদলের দুই ভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে শুরু হলো চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন।
প্রথম দিন ৮১ ওভারে দুই উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৩০৭ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই রান এবার বাড়িয়ে নিতে আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনের লড়াইয়ে নামে প্রোটিয়ারা।
গতকাল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে ব্যাটিং নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। সাগরিকার এই পিচে প্রথম সকালে ব্যাটিংটা তুলনামূলক সহজ। সেই সুযোগটাই মূলত নিতে চেয়েছিল প্রোটিয়ারা। নিজেদের লক্ষ্যে সফল তারা। ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই সাবলীল। দুই ওপেনার টনি ডি জর্জি ও এইডেন মার্করাম শুরুর জুটিতে এনে দেন ৬৯ রান।
প্রথম সেশনে এই জুটি ভেঙে কিছুটা আশা দেখান তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের ১৮তম ওভারে তাইজুলের স্লো ডেলিভারিতে এগিয়ে এসে পুল করতে যান মার্করাম। কিন্তু, নিচু হয়ে যাওয়া বল খুব বেশিদূর যাওয়ার আগেই তালুবন্দি করেন মুমিনুল হক। ফলে ৩৩ রানে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের ইনিংসের।
এই উইকেট পাওয়ার স্বস্তি পরের দুই সেশনে মিলিয়ে যায় বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে এই একটিই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। বিনিময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা রান তোলে ১০৫। পরের সেশন তো আরও দুর্দান্ত ছিল অতিথিরা।
দুই ব্যাটার মিলে দ্বিতীয় জুটিতে পুরো সেশন তুলোধুনো করেন বাংলাদেশি বোলারদের। পাঁচ বোলার দিয়েও প্রোটিয়া দূর্গ ভাঙতে পারেনি স্বাগতিকরা। উল্টো টনি ডি জর্জি নিজেও চলে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগারে। এই সেশনেই জর্জি সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১৪৬ বলে শতকের দেখা পান জর্জি।
প্রোটিয়ারা দিনের শেষ সেশনে পেরিয়ে যায় তিনশ’র ঘর। এই সেশনে এসে শতকের দেখা পেয়ে যান স্টাবস। মুমিনুল হকের বলে কাট করে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন স্টাবস। শতক ছুঁতে স্টাবস খেলেছেন ১৯৪ বল। হাঁকিয়েছেন পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা।
অবশেষে তৃতীয় সেশনে এসে শতরান ছোঁয়া এই স্টাবসকে ফিরিয়েই জুটি ভাঙে বাংলাদেশ। এবারও দৃশ্যপটে তাইজুল। দিনের শেষ সেশনে একটু জোরের ওপর শর্ট অব লেংথ বল করেন তাইজুল। স্টাবস চেষ্টা করেন জায়গা বানিয়ে মোকাবিলা করতে, পারেননি। হাঁটুর নিচে থাকা বল ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত করে স্টাম্পে। কিছুই করার ছিল না স্টাবসের। হতাশ হয়ে ১০৬ রানে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ভাঙে প্রোটিয়াদের ২০১ রানের ইনিংস।
সতীর্থ ফিরলেও উইকেট আকড়ে ছিলেন জর্জি। দিনের বাকি সময় ডেভিড বেডিংহ্যামকে নিশ্চিন্তে পার করে দেন তিনি। তার ব্যাটে চড়ে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকা।